পুষ্টিকর দুধ আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।আয়ুর্বেদ অনুসারে, শুধুমাত্র একটি সুস্থ গরুর কাঁচা দুধ পান করা উচিৎ এবং তা অবিলম্বে পান করা উচিৎ, অন্যথায় এতে জীবাণু বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এ ছাড়া এতে চর্মরোগ, অ্যালার্জি ও বমির মতো সমস্যাও হতে পারে। দুধ ফোটানোর পর ব্যবহার করা ভালো, এতে ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি থাকে না এবং এর উপকারিতাও কাঁচা দুধের মতোই।
ম্যালেরিয়া, সাধারণ জ্বর, শুকনো কাশি, নিউমোনিয়া, শারীরিক দুর্বলতা, হৃদরোগ, পোড়া, পাইলস, মৃগীরোগ, মানসিক রোগ, হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা ইত্যাদিতে রোগীকে ওষুধের সঙ্গে দুধ পান করতে হবে।
এসব রোগে বাত ও পিত্তের আধিক্য থাকে। দুধ এটা কমায়। এটি ওষুধের তাপকেও ঠান্ডা করে। ডায়রিয়া, আমাশয়, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, জন্ডিস, যকৃতের রোগ এবং এই ধরনের বাতের রোগী যাদের জয়েন্ট ফুলে গেছে, তাদের দুধ ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
এসব রোগে পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভারী দুধের কারণে সহজে হজম হয় না। রোগীর অম্লতা, বদহজম এবং বমির অভিযোগ থাকতে পারে।
মনে রাখা জরুরী :
সাইট্রাস ফলের সাথে দুধ ব্যবহার করবেন না। এমনটা করলে বদহজম ও জ্বালাপোড়া হতে পারে।
খালি পেটে দুধ খাবেন না। এটি সর্বদা সকালের জলখাবারের সাথে নিন। খালি পেটে দুধ পান পেট ব্যথার সমস্যাও হতে পারে।
রাতে খাবার খাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর দুধ পান করা ভালো।
অ্যালুমিনিয়াম, ব্রোঞ্জ, তামা বা গ্লাসবিহীন পিতলের পাত্রে দুধ ফোটানো ঠিক নয়।
এ কারণে দুধে ধাতু চলে যাওয়ার কারণে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, বমি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment