শীতকালে আপনাকে প্রায়ই ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ডিমের কুসুম বা হলুদ অংশ খাওয়া উচিৎ নয়। এর ফলে ওজন বাড়তে পারে।
আসলে শীতে ডিমের কুসুম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডিমের কুসুমে ক্যালরি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ই এবং কে রয়েছে। এটি শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী।
এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং শিশু এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এর পাশাপাশি এটি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও খুব ভালো বলে মনে করা হয়। এটি খাওয়া চুলের বৃদ্ধিও ভালো হয়। আসুন জেনে নেই এর উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে।
ডিমের কুসুম খাওয়ার উপকারিতা:
মস্তিষ্কের বিকাশ:
ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে রিবাফ্লাভিন, ফসফরাস এবং ফোলেট পাওয়া যায়, যার সাহায্যে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করে। এর সেবনে শিশুকাল থেকেই শিশুদের মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটে।
শক্তিশালী পেশী:
ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন শরীরের কোষের বিকাশে সাহায্য করে। এটি ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে মেরামত করতেও কাজ করে। এছাড়াও ত্বক উজ্জ্বল করে।
ইমিউন সিস্টেম:
ডিমের কুসুম খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১২ এবং সেলেনিয়াম, যা শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি:
ডিমের কুসুমে থাকা ভিটামিন এ, লুটেন এবং যেসান্তহীন ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোধ করতে সাহায্য করে, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করে, কিন্তু ডিমের কুসুমে পাওয়া পুষ্টিগুণ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সহায়ক:
সাধারণত মানুষ মনে করেন ডিমের কুসুম খেলে ওজন বাড়তে পারে, কিন্তু এর বিপরীতে ডিমের কুসুম খেলে আপনার ওজন কমতে পারে।
এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালরি থাকে, যার ফলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং আপনি অতিরিক্ত খাবার খান না, যা ওজন কমাতে খুবই উপকারী।
হার্টের ঝুঁকি হ্রাস :
ডিমের কুসুমে কোলিন অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা হৃদরোগ কমাতে সহায়ক। ডিম খাওয়ার ফলে রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধে না, যা হার্ট স্ট্রোক ও অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়।
ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে :
ডিমের কুসুম ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। এতে উপস্থিত উপাদান ত্বকের কোষগুলিকে মেরামত করতে কাজ করে এবং মুখের উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে।
এভাবে ডিমের কুসুম ব্যবহার :
ডিম সিদ্ধ করুন এবং এর সাদা অংশ সহ হলুদ অংশ খান।
আপনি রুটির সাথে ডিমের কুসুমও ব্যবহার করতে পারেন।
অনেকেই ডিমের কুসুম যোগ করে দুধ পান করতে পছন্দ করেন।
এছাড়া ডিমের কুসুম মুখে ও চুলে লাগাতে পারেন।
No comments:
Post a Comment