চুলে রং করাটা যতটা স্টাইলিশ, বাড়তি রং হেয়ারলাইনে বা ঘাড়ের কাছে লেগে থাকা ততটাই বিরক্তিকর।
তার চেয়েও বড়ো কথা, এখানে ওখানে রঙের ছোপ লেগে থাকার মতো আনগ্ল্যামারাস আর কিছু হয় না। বাড়িতে যাঁরা চুলে রং করেন, তাঁরা হাড়ে হাড়ে জানেন সে কথা।
শুধু হেয়ারলাইন বা ঘাড়ে নয়, আঙুলে, নখের কোনাতেও লেগে যায় রং। সুখের কথা, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে বাড়ির প্রাইভেসিতেই এ সব রঙের ছোপ এবার তুলে ফেলতে পারবেন আপনি।
শুধু একটাই কথা, রং বসতে দেবেন না। দ্রুত তুলে ফেলুন বাড়তি রং। রং একবার বসে গেলে এ সব ঘরোয়া পদ্ধতি আর কাজ নাও করতে পারে!
শুরুতেই সুরক্ষা ব্যবস্থা নিন: চুলে রং শুরু করার আগেই কিছু প্রাথমিক সুরক্ষা নিয়ে নিলে ত্বকে রং বসতে পারবে না।
মুখে আর ঘাড়ে ভালো করে পেট্রোলিয়াম জেলি বা অন্য কোনও তেল মেখে নিন। এতে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে। আর্দ্র ত্বক রং দ্রুত শুষে নিতে পারে না।
চুলে রং করা হয়ে যাওয়ার পরেও খানিকটা পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে ত্বকের রং লাগা অংশে ঘষতে থাকুন, রং ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসবে। তারপর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নখ আর আঙুল বাঁচিয়ে রাখুন: খুব সম্ভব এ নিয়মটা আপনি মেনেই চলেন। পাতলা রবারের গ্লাভস সব ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়। চুলে রং করার সময় হাতে গলিয়ে নিন।
ভিনিগার: ত্বকের উপরের রং লাগা মৃত কোষ তুলে ভিতরের পরিষ্কার ত্বক বের করে আনতে পারে ভিনিগারের অ্যাসিড।
তুলোয় করে ভিনিগার নিয়ে দাগ লাগা অংশগুলোয় ঘষুন। সাবধান, চোখের কাছাকাছি নিয়ে যাবেন না। তারপর পরিষ্কার জলে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
বেকিং সোডা আর তরল ডিটারজেন্ট: সমপরিমাণ বেকিং সোডা আর কোমল লিকুইড ডিটারজেন্ট ভালো করে মিশিয়ে নিন। ত্বকের রং লাগা অংশে এই মিশ্রণটা দিয়ে ভালো করে ঘষলেই রং উঠতে থাকবে।
তবে খুব কড়া হাতে ঘষবেন না, ত্বক ছড়ে যেতে পারে। তবে ত্বকে জ্বালা করলে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করবেন না।
টুথপেস্ট: রং লাগা ত্বকের উপর খানিকটা টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। টুথপেস্টে বেকিং সোডা বা অন্য গ্র্যানিউল থাকলে ভালো হয়।
ধীরে ধীরে ঘষলে রং হাল্কা হয়ে আসবে। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
No comments:
Post a Comment