লোকেরা প্রায়শই বাড়ির দিক, দরজা, রান্নাঘর, বাথরুমের দিকনির্দেশ করার সময় বাস্তুর নিয়ম মেনে চলে, কিন্তু তারা ছাদ সংক্রান্ত বাস্তুর নিয়মগুলিকে উপেক্ষা করে, যা তাদের সামনে ভারী হতে পারে।
বাস্তুশাস্ত্র আপনার বাড়ির নির্মাণের সাথে সম্পর্কিত। সাধারণত দেখা যায় মানুষ ঘর, দরজা, রান্নাঘর, বাথরুমের দিকনির্দেশ করতে গিয়ে বাস্তুর নিয়ম মেনে চলে, কিন্তু ছাদের ব্যাপারে বাস্তুর নিয়ম উপেক্ষা করা হয়। এটি করা উচিৎ নয়, অন্যথায় আপনাকে এর নেতিবাচক পরিণতির মুখোমুখি হতে হতে পারে।
ছাদ প্রধানত তিন প্রকার- সমতল ছাদ, ঢালু ছাদ এবং গোলাকার ছাদ। উচ্চ বৃষ্টিপাত বা তুষারপাত সহ এলাকায়, প্রায়ই ঢালু ছাদ তৈরি করা হয়। আজ আমরা আপনাদের জানাচ্ছি বাড়ির ছাদ সম্পর্কে বাস্তুর নিয়ম কি বলে।
যে ঘরের ছাদ সমতল সেগুলির ঢাল কোন দিকে আছে সেগুলির বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। ঢাল দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর-পূর্বে হওয়া উচিৎ। যাঁদের পশ্চিম বা দক্ষিণমুখী বাড়ি আছে, তাঁরা কিছু বাস্তুশাস্ত্রের সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত নিন যে ঢাল কোন দিকে হবে।
কখনও তির্যক ছাদ তৈরি করবেন না, এটি বিষণ্নতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ছাদ সবসময় পরিষ্কার রাখুন। পুরানো জিনিসপত্র, আবর্জনা ছাদে ফেলে রাখা উচিৎ নয়। আপনার ছাদ পরিষ্কার না থাকলে নেতিবাচক শক্তি সক্রিয় হতে পারে।
বাস্তু বিজ্ঞানের মতে, দক্ষিণ-পশ্চিম অর্থাৎ দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে উঁচু ও ভারী হওয়া শুভ। ছাদে একটি জলের ট্যাঙ্ক এদিক দিয়ে রাখলে এই অংশটি অন্যান্য অংশের তুলনায় উঁচু ও ভারী হয়ে যায়। বাড়ির সমৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি জলের ট্যাঙ্ক স্থাপন করা উচিৎ।
অনেকে ছাদে গাছও রাখেন। তুলসী, গাঁদা, লিলি, হরিদুব, পুদিনা, হলুদ ইত্যাদি ছোট গাছ ছাদে উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব দিকে লাগাতে হবে। উত্তর দিকে নীল রঙের ফুল লাগাতে হবে। ছাদের দক্ষিণ বা পশ্চিম দিকে ভারী পাত্রে সবসময় লম্বা গাছ লাগানো উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। চাঁদনী, মোগরা, জুঁই ইত্যাদি সাদা রঙের ফুলের চারা পশ্চিম দিকে লাগাতে হবে।
No comments:
Post a Comment