তেলতেলে ত্বক বা শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে যত কথা হয়, কম্বিনেশন বা মিশ্র ত্বক নিয়ে তার অর্ধেকও হয় না৷ কিন্তু দেখতে গেলে কম্বিনেশন ত্বকের সমস্যা সবচেয়ে বেশি কারণ কোনও একধরনের ত্বক পরিচর্যার রুটিন মেনে কম্বিনেশন ত্বকের সঠিক দেখভাল করা সম্ভব নয়৷
আপনিও যদি কম্বিনেশন ত্বকের অধিকারিণী হন, তা হলে জেনে নিন কীভাবে আপনার অমূল্য ত্বকের যত্ন নেবেন।
কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক কম্বিনেশন কিনা?
কম্বিনেশন বা মিশ্র ত্বক বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ঘুম থেকে ওঠার পর আয়নার সামনে দাঁড়ানো৷
যদি মনে হয় গালের অংশ বেশ শুষ্ক কিন্তু কপাল, নাক আর চিবুক তেলতেলে, বুঝবেন আপনার ত্বক মিশ্র৷ এ ছাড়া মিশ্র ত্বক জায়গায় জায়গায় শুষ্ক আবার অন্য জায়গায় তৈলাক্ত হয়৷
কম্বিনেশন ত্বকের পরিচর্যার পদ্ধতি: কোমল ক্লেনজ়ার ব্যবহার করুন :ত্বকে তেলের পরিমাণ বেশি হলে জেল বেসড ক্লেনজ়ার ব্যবহার করুন৷ ত্বক রোদে পোড়া হলে হালকা লোশন ক্লেনজ়ার লাগান৷ সাবান এড়িয়ে চলুন৷
টোনার ব্যবহার জরুরী : ত্বক পরিষ্কার করার পর মুখের তেলা অংশ কোমল টোনার দিয়ে মুছে নিন৷ অ্যালকোহল, মেন্থল আর সুগন্ধিযুক্ত টোনার এড়িয়ে চলুন৷
রোদ থেকে সুরক্ষিত থাকুন: সারাবছর প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তাতে মুখে সূক্ষ্ম রেখা বা দাগছোপ পড়বে না।
ত্বকের ধরন তেলতেলের দিকে হলে এসপিএফ যুক্ত কমপ্যাক্ট বা ফাউন্ডেশন লাগান। যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল, তাঁরা টিটানিয়াম ডাই অক্সাইড বা জ়িঙ্ক অক্সাইড যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। কেনার সময় লেবেল দেখে নেবেন।
ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী পরিচর্যা করুন: যেহেতু আপনার ত্বকের ধরনটাই আলাদা, তাই এটুকু কষ্ট করতেই হবে। মুখের শুষ্ক অংশে একটু ভারী ময়েশ্চারাইজ়িং ক্রিম বা লোশন লাগান, কিন্তু তেলতেলে অংশে ভুলেও নয়।
মেকআপ করার সময় ম্যাট ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন, তবে তার আদে হাইড্রেটিং সিরাম বা প্রাইমার অবশ্যই লাগিয়ে নেবেন। চোখের নিচের অংশ শুষ্ক হলে ভারী আন্ডার আই ক্রিম লাগালে উপকার পাবেন।
No comments:
Post a Comment