গ্যাসের সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা। খুব কমই এমন কেউ আছে যাকে এই সমস্যাটি মোকাবেলা করতে হয়নি। মাঝে মাঝে গ্যাস তৈরি হওয়া ভিন্ন বিষয়, তবে আপনার যদি বারবার এবং ক্রমাগত এই সমস্যা হয় তবে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কী :
পেটে গ্যাসের সমস্যা হল এমন একটি অবস্থা যেখানে পাকস্থলীর ঝিল্লির স্তর বিঘ্নিত হয় এবং অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। একবার এই অ্যাসিডগুলি পাকস্থলীর দেয়ালের সংস্পর্শে আসে, এটি ব্যথা এবং অস্বস্তির জন্ম দেয়।
এই অবস্থাকে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বলা হয়। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাচনতন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া খাবার ভেঙ্গে গ্যাস তৈরি হয়। অন্ত্রের গ্যাস বেশিরভাগ হাইড্রোজেন এবং মিথেন নিয়ে গঠিত।
সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পরে এই সমস্যা শুরু হয়, তবে এটি প্রয়োজনীয় নয়। অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা শিশুদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যার জন্ম দেওয়ার জন্য দায়ী।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বা গ্যাস্ট্রাইটিস হল পেটের আস্তরণের প্রদাহ, জ্বালা বা ক্ষয়। এটি তীব্র আকারে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে দীর্ঘস্থায়ী অবস্থায় পরিণত হতে পারে।
গ্যাসের লক্ষণগুলো কীকী :
গ্যাসের সমস্যা বেশ অস্বস্তিকর হতে পারে, তবে এটি সাধারণত গুরুতর নয়। যাইহোক, কিছু ক্ষেত্রে এটি বেশ ভয়ঙ্কর হতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয় যেখানে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে উপশমও পাওয়া যায়।
সাধারণত দেখা যায় এমন লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
অম্লতা
পেট বাধা
পেট ফাঁপা বা পূর্ণ অনুভূতি
বা পেটের আকার বৃদ্ধি বা পেট শক্ত হয়ে যাওয়া
বুকে ব্যাথা
অত্যধিক গ্যাস গঠন একটি স্বাস্থ্য উদ্বেগ:
যদিও এটি একটি সাধারণ সমস্যা, যা বেশিরভাগ সমস্যা সৃষ্টি করে না। কিন্তু কখনও কখনও এটি বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
বেশি গ্যাস পেলে সাবধান হতে হবে। এটি পেটে ব্যথা, ওজন হ্রাস, জ্বর, বা রক্তাক্ত মলের মতো উপসর্গের কারণ হতে পারে। এগুলি হজমজনিত রোগের সমস্ত লক্ষণ, যেমন সিলিয়াক ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস বা ক্রোহন ডিজিজ।
ঘরোয়া প্রতিকার:
যদি আপনার কোন বড় সমস্যা হয়, তাহলে আপনাকে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ছোটখাটো কোনো সমস্যা থাকলে ঘরে বসেই কিছু ঘরোয়া আয়ুর্বেদিক প্রতিকার করে আপনি আপনার গ্যাসের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন। এর পাশাপাশি জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তনও আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
জোয়ান পেটের জন্য উপকারী:
জোয়ান এমন একটি মসলা যা আপনাকে গ্যাসের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে কাজ করে। এটি একটি পরীক্ষিত এবং পরীক্ষিত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, যা কয়েক বছর ধরে গ্যাসের সমস্যার জন্য করা হচ্ছে।
ক্যারাম বীজ এবং কালো লবণ পিষে একটি পাউডার তৈরি করতে হবে। এটি দিনে দুবার গরম জলের সাথে খেতে হবে। তবে বেশি সেবন এড়িয়ে চলুন, না হলে ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
আদার রস:
আদা বেশিরভাগই ঘরোয়া প্রতিকারে গলা ব্যথা উপশমের জন্য ব্যবহার করা হয়, তবে এটি গ্যাসের সমস্যার জন্যও একটি নিরাময়। এটি যে আয়ুর্বেদিক গুণাবলীতে পরিপূর্ণ তাতে কোন সন্দেহ নেই। এক চামচ আদা কুচি করে লেবুর রস দিয়ে খেতে হবে।
ত্রিফলা:
পেট ব্যথার অনেক সমস্যায় ত্রিফলা খুবই উপকারী, যার মধ্যে গ্যাসেরও বড় নাম। অনেক সময় অতিরিক্ত গ্যাস তৈরির কারণে অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে শুরু করে।
যা অনেক জ্বালাতন করে। সেক্ষেত্রে ত্রিফলা গুঁড়ো উপকারী। একজনকে কেবল এটি খাওয়ার সঠিক উপায় জানা দরকার। আপনি যদি ত্রিফলা খেতে চান, তাহলে আধা চামচ ত্রিফলা জলে ৫ থেকে ১০ মিনিট সেদ্ধ করে রাতে ঘুমানোর আগে খান। তবে মনে রাখবেন ত্রিফলায় ভালো পরিমাণে ফাইবার আছে। এর অত্যধিক খাওয়া আপনাকে সমস্যা দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment