রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ সক্রিয় এবং ১০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে ভয়ঙ্কর গতিতে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণের হার। অন্যদিকে, কলকাতায় দুইজনের মধ্যে একজন পজিটিভ পাওয়া গেছে। হেলথ বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমণের হার বেড়েছে ৫৩ শতাংশের বেশি। এর মানে হল যে এখানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করানো প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। গত দিনে কলকাতায় ৭ হাজার ৪৮৪ জন নতুন করোনা রোগী পাওয়া গেছে এবং সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় ৩ লাখ ৭১ হাজার ১৪২ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৭ জন।
এই সপ্তাহ থেকেই কলকাতায় করোনা সংক্রমণের গতি ত্বরান্বিত হতে শুরু করেছে। কলকাতায় সংক্রমণ বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে চিকিৎসকরা বলছেন যে, সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পৌর কর্পোরেশন নির্বাচন, বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে ভিড় জমানোর কারণে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমতা জানান, 'নির্বাচন ও নববর্ষ উপলক্ষে ব্যাপক ভিড় ছিল। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত প্রশাসন। নিয়মিত পরীক্ষা হলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। কলকাতার অবস্থান খুবই উদ্বেগজনক এবং এখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তার জন্য প্রস্তুত নয়। এক হাজারের বেশি চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। যদি আমরা পুরো পশ্চিমবঙ্গের কথা বলি, তবে শুক্রবার সংক্রমণের হার ২৬ শতাংশের বেশি পৌঁছেছিল।'
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা হেলথ বুলেটিন অনুসারে, এখানে নিয়মিত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা টানা দ্বিতীয় দিনে ১৮ হাজারের বেশি হয়েছে। হেলথ বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৫১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৮ হাজার ৮০২ জন পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর সাথে, রাজ্য জুড়ে মহামারীতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ১১২ জন। এছাড়া ১৯ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজার ৮৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বাকি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭১ বেড়েছে এবং মোট ৬২ হাজার ৫৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত মোট দুই কোটি ১৮ লাখ দুই হাজার ৫৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment