আমাদের বাড়ির রান্নাঘরে স্বাস্থ্যের ভাণ্ডার রয়েছে, যা আমরা জানি না। রান্নাঘরে উপস্থিত মশলাগুলিতে এত উপকারী উপাদান রয়েছে যে তারা অনেক রোগ নিরাময় করতে সক্ষম।
তেমনই একটি মশলা হল তেজপাতা। তেজপাতায় অনেক গুণ আছে এবং এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে।
তেজপাতার মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজের মতো অনেক উপাদান। তেজপাতা খেলে ঠাণ্ডা লাগা সেরে যায়। এটি মানসিক চাপ কমাতেও সহায়ক। গরম জলে রেখে ভাপ নিলে শ্বাসকষ্টও দূর হয়।
চাপ কমাতে কার্যকর তেজপাতা।
যাদের বেশির ভাগই স্ট্রেসের সমস্যা থাকে, তাদের এ থেকে মুক্তি পেতে তেজপাতা ব্যবহার করা উচিৎ। প্রতি রাতে দুটি তেজপাতা পুড়িয়ে ঘরে রাখুন। এর ধোঁয়ার কাছে কিছুক্ষণ বসুন। এই ধোঁয়া মানসিক চাপ দূর করতে সহায়ক।
তেজপাতা সুগন্ধযুক্ত। এটি খেয়ে একজন ব্যক্তি নিজেকে রিল্যাক্সড করতে পারেন। তেজপাতা অ্যারোমাথেরাপির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
তেজপাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ওষুধ। এটি রক্তের কোলেস্টেরল, গ্লুকোজ এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। রোগী যদি এর পাতা গুঁড়ো করে এক মাস খান, তাহলে শরীরের সুগার লেভেল কমে যায়।
তেজপাতা ব্যথায় উপশম দেয়।
এর তেলে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর তেল মালিশ করলে মচকে যাওয়া, শক্ত হয়ে যাওয়া, বাত এবং পায়ের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
তেজপাতার গুঁড়ো দাঁতের সাদাভাব বাড়াতেও সাহায্য করে। এর পাউডার দিয়ে সপ্তাহে দুবার ব্রাশ করলে দাঁতের উজ্জ্বলতা ও শুভ্রতা আসে।
ত্বকের টানটান ভাবও বজায় রাখে তেজপাতা। এর পাঁচটি শুকনো পাতা জলে দিয়ে ঢেকে দুই মিনিট ফুটিয়ে তারপর ঢাকনা সরিয়ে ফোটান। এই জল থেকে ভাপ নিলে ত্বক টানটান হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment