পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলো খুবই অদ্ভুত এবং রহস্যে ভরা। এমনও অনেক জায়গা আছে যেগুলো আগে নিরাপদ ছিল কিন্তু পরে মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। আফ্রিকা মহাদেশে এমন একটি স্থানকেও বিবেচনা করা হয়েছে, এই হ্রদ, যার তীরে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করে। বলা হয়েছে যে জীবনযাত্রা এই হ্রদের কারণে এই লোকেদের বিপদ হতে পারে, তবে এখন এটি সম্পর্কে একটি ভাল কথা শোনা যাচ্ছে। দেখা গেছে যে এই হ্রদের জল থেকে শক্তি তৈরি করা যেতে পারে। এতে অবশ্যই স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
মিথেন গ্যাসের প্রাচুর্য
কথিত আছে কিভু নামের এই হ্রদের জলে মৃত্যু বিলীন হয়ে যায়। কিভু হ্রদ, যা কিলার লেক নামেও পরিচিত, আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গো এবং রুয়ান্ডার সীমান্তে অবস্থিত একটি দ্বৈত মালিকানাধীন হ্রদ। এই হ্রদের জল লক্ষাধিক মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছিল, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস মিশেছে। এই গ্যাস এতটাই বিপজ্জনক যে এর কবলে পড়ে অল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যুও হতে পারে। সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এই লেকের জলে তৈরি হওয়া মেঘে বিষাক্ত মিথেন গ্যাসও থাকবে এবং আবাসিক এলাকায় বৃষ্টি হলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এই সব ঘটনা এখনও সত্য কিন্তু এখন গল্পে একটি মোচড় এসেছে।
কিছু পরীক্ষা থেকে তথ্য
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিভু হ্রদের জলে মিথেনের প্রাচুর্য সম্পর্কে জানার পর, রুয়ান্ডা সরকার বিজ্ঞানীদের একটি দলকে এর জন্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা খোঁজার জন্য এটি পরীক্ষা করতে বলে। এই পরীক্ষার ফলাফল ছিল বেশ বিস্ময়কর। গবেষকরা বলেন, এটা ঠিক যে জলে প্রচুর মিথেন আছে, তবে তা শক্তি উৎপাদনে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিস্ফোরণ বা বিষাক্ত বৃষ্টি থেকে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য জল থেকে মিথেন গ্যাস বের করা প্রয়োজন এবং এই প্রক্রিয়ায় গ্যাসের বিপুল অপ্রত্যাশিত সরবরাহের মাধ্যমে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন করা যায়। এখন শীঘ্রই এখানে কিভুভাত বায়োগ্যাস প্রকল্প শুরু করা হবে।
No comments:
Post a Comment