কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজ্যের বিশিষ্টজনেরা তার মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সংগীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তাদেরই পাশে দাঁড়িয়ে স্বভঙ্গিমায় প্রতিবাদ জানালেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। বুধবার বেলঘড়িয়া ১৭ পল্লী নাগরিক সমিতির পৌষ মেলা ও পুষ্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে দেশের জাতীয় ফুল "পদ্ম" কে বয়কট করলেন তিনি। পাশাপাশি পদ্মফুল ছিঁড়ে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক।
এই নিয়ে মদন মিত্র জানান, "লোকে বলে পদ্ম ফুল দিয়ে পুজো হয়। কিন্তু আমি আসন্ন সরস্বতী পুজো নীল পদ্ম ছাড়াই করবো। দেখি আমার কত বড় ক্ষতি হয়! হৃদয় দিয়ে পূজা করতে হয়, আর আমরা মানুষের পুজো করি। দিল্লীর শাসক দল বিজেপির প্রতীক পদ্ম ফুল, তারা এই ফুলের অপমান করেছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিদের এরা অপমান করেছে। তার ফলে এরা পদ্ম পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মত একজন বামপন্থী মানুষের স্ত্রী ও এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাই আমরাও বেলঘড়িয়ার এই ফুলের মেলাতে পদ্ম ছিঁড়ে ফেললাম। আর কোনওদিন এই মেলায় পদ্ম ফুল থাকবে না। কারণ আমরা মনে করি বাংলাকে পদ্ম দিয়ে অপমান করা হয়েছে।"
মদন মিত্র আরও বলেন, "কেউ যদি অপমান করে, তাকে থাপ্পড় মেরে জেলে দেওয়া উচিৎ, কিন্তু এখানে আমি থাপ্পর মারতে পারছি না। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মত ব্যক্তিদের আরও আগে দেওয়া উচিৎ ছিল কিন্তু এখন অপমান করার জন্য এটা দেওয়া হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদী এমনভাবে অপমানিত হবেন, যেদিন হয়তো দেখা যাবে যে তার সরকার থেকে চলে যাওয়ার ৫০০ বছর পরে তাকে ভারতরত্ন সম্মাননা দেওয়ার দাবী উঠতে পারে, তখন আপনার কেমন লাগবে? এটা বাংলার অপমান, এই অপমান সহ্য করবে না।"
এদিকে এইভাবে দেশের জাতীয় ফুল ছিঁড়ে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে অপমান ও অবমাননা করায় বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি, করোনা স্বাস্থ্য বিধি শিকেয় তুলে মেলায় গমগম করছে মানুষজন। বিধায়ক মদন মিত্রকেও মাস্ক ছাড়া মঞ্চে গান পরিবেশন করতে দেখা গেছে আর সামাজিক দূরত্ব বিধি ভুলে সেই গানই উপভোগ করছেন ভিড়ে ঠাসা মানুষ। এই নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
No comments:
Post a Comment