এখন শীত ঋতু, তার ওপর পৌষ মাসের শীত। ঘুমটা এই সময় বড্ড আনন্দদায়ক। আর শান্তিতে ঘুমাতে এই প্রচণ্ড ঠান্ডায় রুম হিটার পেলে ভালোই লাগে। কারণ এতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থেকে রেহাই পাওয়া যায়়।
এই ঠান্ডা এড়াতে, অনেকেই রুম হিটার ব্যবহার করেন, তারপর আরামে ঘুমান। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই রুম হিটার আপনার স্বাস্থ্যের নানাভাবে ক্ষতি করতে পারে? আসলে, বাজারে অনেক ধরনের হিটার পাওয়া যায়, তাদের কাজ করার পদ্ধতিও আলাদা। লোহার রড হিটার থেকে গরম এয়ার ব্লোয়ার বা অয়েল হিটার, এরা সবাই বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে। শীতকালে অনেকেই রুম হিটার সম্পূর্ণ ব্যবহার করে, তবে এগুলো ব্যবহারের আগে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও জেনে নেওয়া উচিৎ।
কনজেক্টিভাইটিস
আমাদের চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ, তাই চোখের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ। চোখকে সুস্থ রাখতে সব সময় চোখ ভেজা রাখা খুবই জরুরি। কিন্তু আপনি যখন ক্রমাগত হিটারের সামনে বসে থাকেন, তখন আপনার চোখ শুকিয়ে যায়, যার কারণে চোখে জ্বালাপোড়া হয়। এভাবে বারবার চোখ স্পর্শ করলে কনজেস্টিভ চুলকানি হতে পারে।
হাঁপানি
আপনার যদি হাঁপানি বা শ্বাসযন্ত্রের অ্যালার্জি বা শ্বাসনালীর সাথে সম্পর্কিত কোনও রোগ থাকে তবে আপনার রুম হিটার ব্যবহার করা উচিৎ নয়। হিটার শুধু গরম বাতাস দেয় না, গ্যাসও সৃষ্টি করে, যা চোখে জ্বালা শুরু হয়। শুষ্ক বায়ু অনুনাসিক বায়ুনালীতে জ্বালা, শরীরে চুলকানি সৃষ্টি করে।
যখনই হিটার ব্যবহার করবেন তখন এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন-
আপনি যদি হিটার কিনছেন, তাহলে তেল হিটার নেওয়াই ভালো।
সারারাত কখনই হিটার জ্বালাবেন না। সারারাত হিটার জ্বালানো বয়ষ্কদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ঘুমানোর ১ বা ২ ঘন্টা আগে হিটারটি বন্ধ করে ঘরের তাপমাত্রা উষ্ণ করুন।
হিটারের কাছে জল ভর্তি একটি পাত্র বা বাটি রাখুন। এটি বাতাসে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং বাতাসে কম শুষ্কতা থাকবে।
যখনই হিটার থেকে চোখে জ্বালাপোড়া হবে, সাথে সাথে গিয়ে চোখে ঠাণ্ডা জল ঢালুন।
হাঁপানি বা হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে অন্তত হিটার ব্যবহার করুন।
যখনই ঘর খুব গরম হয়ে যায়, একটি জানালা বা দরজা খোলা রাখুন, যাতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে।
No comments:
Post a Comment