আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং পাসপোর্ট হল ভারতের নাগরিক হিসাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আইডি। একটি ভোটার আইডি কার্ডের জন্য নথিটি শুধুমাত্র পরিচয় প্রমাণ হিসেবেই কাজ করে না বরং আপনাকে আপনার ভোট দেওয়ার অনুমতি দেয়। বিধানসভা নির্বাচন ২০২২ কাছাকাছি এবং কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে যে কোনও ধরণের শারীরিক যোগাযোগ এড়াতে ফোনে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা প্রয়োজন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ভারতের নির্বাচন কমিশন গত বছর ই-ইপিআইসি (ইলেক্ট্রনিক ইলেক্টোরাল ফটো আইডি কার্ড) প্রোগ্রাম চালু করেছিল।
উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন আগামী মাসে শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের ভোটদান প্রক্রিয়া চলাকালীন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পরিষেবাটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ই-ইপিআইসি হল আপনার ভৌত ভোটার আইডি কার্ডের একটি পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট সংস্করণ যা আপনার মোবাইল ডিভাইসে এক ক্লিকে ডাউনলোড করা যেতে পারে।
ই-ইপিআইসি-এর সুবিধা
একজন ভোটার হয় তার ফোন স্টোরেজে ই-ইপিআইসি সংরক্ষণ করতে পারেন বা ডিজি লকারে আপলোড করতে পারেন। উল্লেখযোগ্যভাবে ভোটার আইডি কার্ডের ডিজিটাল সংস্করণটি ভোটার আইডি, ঠিকানার শংসাপত্র বা অন্য কোনও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া চলাকালীন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি একটি সুরক্ষিত নথি এবং হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বিবরণ চুরি করতে এটিকে কারচুপি করতে বা ব্যবহার করতে পারে না।
কিভাবে একটি ডিজিটাল ভোটার কার্ড ডাউনলোড করবেন
ধাপ ১:লিঙ্ক-এ যান।
ধাপ ২: ডাউনলোড ই-ইপিআইসি বিকল্পে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: আপনার ই-ইপিআইসি নম্বর লিখুন এবং তারপর একটি এক-কালীন পাসওয়ার্ড (ওটিপি) যোগ করুন যা আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে।
ধাপ ৪: ডাউনলোড এপিক-এ ক্লিক করুন।
দেশের প্রতিটি ভোটারের একটি ইপিআইসি নম্বর রয়েছে এবং তিনি এই সহজ পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে তার স্মার্টফোনে ই-ইপিআইসি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment