শিরাগুলির প্রদাহ হল শিরাগুলির ভিতরে ফুলে যাওয়া বা লাল হওয়া অবস্থা। এই সমস্যাকে নিউরাইটিসও বলা হয়। এই স্নায়ুগুলি মেরুদণ্ড এবং মস্তিষ্কের বাইরে পাওয়া যায়।
এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে এক বা একাধিক শিরা স্ফীত হতে পারে। স্নায়ুর প্রদাহের কারণে তীব্র ব্যথা এবং খিঁচুনি হয়। স্নায়ু ফুলে যাওয়া অনেক কারণে হতে পারে, যার মধ্যে আঘাত, সংক্রমণ, দুর্বল পেশী ইত্যাদি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন শিরা শিরা ফুলে যায়?
কেন শিরা ফুলে যায়?
ফুলে যাওয়া শিরাগুলির অস্বস্তির কারণ তাদের ধরণের উপর নির্ভর করে।
যদি একজন ব্যক্তি স্থানীয় নিউরাইটিসে আক্রান্ত হন, তবে তার শরীরের সমস্ত স্নায়ুর পরিবর্তে শুধুমাত্র একটি শিরায় ব্যথা এবং ফোলাভাব থাকতে পারে। ডিপথেরিয়া এবং বেলস পলসি একই শিরাকে প্রভাবিত করে এমন প্রধান শর্ত।
এর বাইরেও এমন কিছু অবস্থা রয়েছে, যাতে একই সঙ্গে শরীরের অনেক স্নায়ু আক্রান্ত হতে পারে। একে পলিনিউরাইটিস বলে। জেনেটিক অস্বাভাবিকতা, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাল ইনফেকশন, অতিরিক্ত মদ্যপান, ডায়াবেটিস ইত্যাদি কারণে পলিনিউরাইটিসের সমস্যা হতে পারে।
শিরা প্রদাহ ঝুঁকি
শিরায় ফোলাভাব বাড়াতে পারে এমন অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন-
হাইপোথাইরয়েডিজম
ভারসাম্যহীন কোলেস্টেরলের মাত্রা।
হাইপার টেনশন
কষ্ট পাওয়া
বিকিরণ
টিবি সমস্যা
শিরা প্রদাহ প্রতিরোধ
শিরা ফুলে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে শরীরকে সচল রাখা খুবই জরুরী। এছাড়াও, আপনি আরও কিছু টিপস অনুসরণ করে শিরা ফোলা সমস্যা কমাতে পারেন। চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কে-
খাদ্যের প্রতি মনোযোগ দিন
শিরা ফোলা সমস্যা এড়াতে আপনার খাদ্যতালিকায় সুষম খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করুন। বিশেষ করে ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খেলে শিরায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, যা শিরা ফুলে যাওয়ার সমস্যা কমায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
শিরা ফুলে যাওয়ার সমস্যা হলে বা সুরক্ষার জন্য শরীরকে সচল রাখুন। শরীরকে সচল রাখলে স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যা দূরে থাকে। এর পাশাপাশি শিরায় রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে, যার কারণে শিরার সমস্যা এড়ানো যায়।
অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন
আপনি যদি স্নায়ুর ব্যথায় ভুগছেন তবে অ্যালকোহল সেবন করবেন না। এতে আপনার কষ্ট বাড়তে পারে। অ্যালকোহল পান বা ধূমপান করলে শিরায় ব্যথা এবং ফোলাভাব বাড়তে পারে। এতে শিরায় রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
আপনি যদি শিরায় ফোলা অনুভব করেন তবে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। যাতে যেকোনও মারাত্মক সমস্যা এড়ানো যায়। একই সময়ে, আপনার জীবনধারার দিকে মনোযোগ দিন। যাতে মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment