সময়মতো অ্যাম্বলিওপিয়ার চিকিৎসা করালে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে। প্রতি মাসে তিন থেকে চারটি শিশু চিকিৎসার জন্য JLNMCH-এ যায়। চিকিৎসকদের মতে, এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের এলাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
যদি সময়মতো অ্যাম্বলিওপিয়ার চিকিৎসা করা হয়, তাহলে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে।
অ্যাম্বলিওপিয়া শিশুদের একটি জন্মগত রোগ। একে ছোট ছানি বা স্কুইন্টও বলা হয়। অল্প বয়সে চিকিৎসা করালে রোগ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে চিকিৎসা কার্যকর হয় না। এই রোগটি ওষুধে নয়, চোখের ব্যায়াম দ্বারা নিরাময় হয়। চিকিৎসকের মতে, ওষুধটি কার্যকর নয়। গবেষণা এখনও চলছে।
স্কুইটিং একটি শিশুর জন্মগত রোগ, সময়মতো চিকিৎসা সম্ভব, একশত শিশুর মধ্যে তিন থেকে চারটি শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়, স্কুইন্ট ওষুধে নয়, ব্যায়ামের মাধ্যমে নিরাময় হয়।
জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষুবিদ্যা বিভাগে প্রতি মাসে দুই থেকে চারটি শিশুর চিকিৎসা করা হয়। চক্ষুবিদ্যা বিভাগের সভাপতি ও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ উমা শঙ্কর সিং বলেন, একশত শিশুর মধ্যে দুই থেকে চারজন শিশু ছিন্নমূল বা ছোট ছানিতে ভোগে।
এটি একটি জন্মগত রোগ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় তাই শিশু ও তার বাবা মা তা টের পায় না। চোখ পরীক্ষা করার পর জানা যায়, এক চোখে কম দেখা যায়।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ পুনীত পরশুরাম পুরিয়া বলেন, রেটিনার কেন্দ্রে অবস্থিত ম্যাকুলামে আলোর অভাবে চোখের বিকাশ হয় না।
অর্থাৎ যে চোখে দেখা যায় না, সে চোখে দৃষ্টি মেরামত করার জন্য, যে চোখটিতে আলো ঠিক আছে সেটি প্রতিদিন এক থেকে দুঘণ্টা বন্ধ রাখতে হবে। অর্থাৎ এক চোখ বন্ধ করে অন্য চোখ যেটিতে তির্যক তা খোলা রাখতে হবে। যাতে সেই চোখের আলো ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
দ্বিতীয় চিকিৎসা হল চোখের ব্যায়াম। ওষুধটি নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। অল্প বয়সে শিশুদের চোখ পরীক্ষা করালে এ রোগ ধরা পড়ে। তবে বেশি বয়সে চিকিৎসা করা কঠিন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment