এই দিনগুলোতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা এতটাই বেড়েছে যে পরিস্থিতি যুদ্ধে নেমে এসেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হলে তার খেসারত পুরো বিশ্বকেই বহন করতে হবে। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে তেল ও গমের বাজারে। এর বাইরে ইউক্রেনের শেয়ার বাজারেও অশান্তি হতে পারে।
কিভাবে গমের সংকট দেখা দিতে পারে?
কৃষ্ণ সাগর অঞ্চল থেকে গম বাণিজ্যে কোনও বাধা সৃষ্টি হলে তা সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলবে। এই সময়ে করোনা মহামারীর কারণে তেল ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে সামরিক পদক্ষেপ বা নিষেধাজ্ঞার কারণে তার প্রভাব কৃষ্ণ সাগরেও দৃশ্যমান হবে। গমের প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ইউক্রেন, রাশিয়া, কাজাখস্তান ও রোমানিয়াকে গম রপ্তানিকারকদের মধ্যে গণনা করা হয়। যুদ্ধ হলে এসব দেশের রপ্তানি ব্যাহত হবে।
ইউরোপীয় দেশগুলিতে সরবরাহ করা প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়া থেকে আসে। বেলারুশ ও পোল্যান্ড হয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে এটি জার্মানিতে পৌঁছায়। একটি পাইপলাইন সরাসরি জার্মানিতে পৌঁছায় এবং অন্যটি ইউক্রেন হয়ে জার্মানিতে পৌঁছায়। 2020 সালে, রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ হ্রাস করা হয়েছিল। যুদ্ধ শুরু হলে রাশিয়া ইউক্রেন থেকে আসা পাইপলাইন আটকাতে পারে।
এমনটা হলে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আকাশ ছুঁই ছুঁই হবে এবং এর খেসারত সারা বিশ্বকে বহন করতে হবে। রাশিয়ার তেল ইউক্রেন হয়ে স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও চেক প্রজাতন্ত্রে পৌঁছায়। এমন পরিস্থিতিতে সরবরাহ ব্যাহত হলে তেলের দাম দ্রুত বাড়বে।
একটি মন্দা হতে পারে
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্ব মন্দার মধ্য দিয়ে যেতে পারে। সামরিক পদক্ষেপের কারণে এ দুই দেশের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশের ডলার বন্ড ভালো পারফর্ম করছে না। রাশিয়ার বাজারে গত কয়েক বছরে পতন দেখা গেছে। এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারেও অনিশ্চয়তার পরিবেশ বিরাজ করছে। 2014 সালের উদাহরণ ধরুন, তারল্য ব্যবধান এবং মার্কিন ডলার মজুদের কারণে সারা বিশ্বের বাজারে এর প্রভাব দেখা যায়।
No comments:
Post a Comment