নিজের ব্যক্তিত্ব দেখাতেও হাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মনে করা হয় নরম ও মসৃণ হাতের মানুষের স্বভাব ও হৃদয়ও হাতের মতো নরম হয়।
সৌন্দর্যের দৃষ্টিকোণ থেকে যদি দেখা যায়, যেভাবেই হোক, শুষ্ক ও প্রাণহীন ত্বকের হাত খারাপ দেখায়। তারা আপনার ব্যক্তিত্বের উপর একটি ভাল ছাপ তৈরি করে না।
এই হাতগুলি যা আমাদের প্রতিটি প্রয়োজন মেটায় তাদের ভাল যত্ন নেওয়া উচিৎ। আপনি যখন আপনার সুন্দর, কোমল, কোমল ত্বকের হাতগুলি দেখবেন, তখন আপনি নিজের সম্পর্কে দুর্দান্ত অনুভব করবেন।
এগুলোও আপনার ভালো ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেবে। যাই হোক, এই পরিবর্তনশীল ঋতুতে সাধারণত হাতের একটু বেশি যত্ন নেওয়া উচিৎ। জেনে নিন এমনই কিছু টিপস, যা আপনার হাতকে ফুলের মতো নরম করতে সাহায্য করবে।
অলিভ অয়েল খুবই উপকারী
শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হাত সুন্দর করার জন্য অলিভ অয়েলের ব্যবহার একটি দারুণ উপায়। এর জন্য এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল গরম করুন।
এবার এই হাল্কা গরম তেল দিয়ে কিছুক্ষণ হাত ম্যাসাজ করতে থাকুন। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করার পর ত্বক তেল শুষে নেবে। খুব তাড়াতাড়ি আপনার হাতের ত্বক হয়ে উঠবে এই তেলে। এটা দিনে দুবার করলে অনেক উপকার হবে।
হাতেও দুধের জাদু
দুধকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো মনে করা হয়। এটি আপনার হাতের শুষ্ক এবং নিস্তেজ ত্বকের চিকিৎসার জন্যও দুর্দান্ত। এর জন্য ফুল ক্রিম দুধ ব্যবহার করলে ভালো হবে।
হাতে দুধ লাগাতে প্রথমে এক কাপ দুধ এত গরম করুন যাতে আপনার হাত তা সহ্য করতে পারে। গরম করার পরে, এখন এটি একটি চওড়া পাত্রে রাখুন, যাতে আপনি আপনার হাত ধোয়া পারেন। দুধ ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য এই দুধে আপনার হাত রাখুন।
দুধ থেকে সরানোর পর হাত ধোবেন না, শুধু টিস্যু পেপার দিয়ে পরিষ্কার করুন। এবার ভালো ময়েশ্চারাইজার বা হ্যান্ড লোশন লাগান।
মৃত কোষ পরিষ্কার করুন
দিনে কতবার জলে হাত দিতে হবে জানি না আর কতবার হাত ধোয়া দিয়ে ধুতে হবে। এমন অবস্থায় হাতের ত্বক অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
এই অসুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল হাতে মৃত কোষ জমে। ভালো করে লক্ষ্য করলে চোখে পড়বে আঙ্গুল ও নখের চারপাশে প্রচুর মৃত কোষ। হাতের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া দরকার।
এর জন্য ২-৪ ফোঁটা লবণ, অলিভ অয়েল এবং লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করুন। এভাবে একটি ভালো স্ক্রাব তৈরি হয়ে যাবে। এবার এই স্ক্রাবটি আপনার হাতে ঘষে নিন। ঘষার পরে, একটি টিস্যু পেপার দিয়ে স্ক্রাবটি মুছুন এবং একটি হ্যান্ড ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগান।
হাত ময়শ্চারাইজ করার জন্য ভ্যাসলিন
সাবান ইত্যাদি থেকে হাতে ছোটখাটো আঁচড়, কাটা বা চুলকানি হওয়া একটি সাধারণ ব্যাপার। আপনার হাতের ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় তবে ভ্যাসলিন এই সবের জন্য একটি ভাল চিকিৎসা।
আসলে ভ্যাসলিন খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার। যখনই আপনি আপনার হাত ধোবেন, এটি আপনার হাতে লাগিয়ে দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন। রাতে ঘুমানোর সময়ও হাত ধুয়ে ভ্যাসলিন লাগান। ভ্যাসলিন ব্যবহার করলেই হাতের ত্বক নরম হয়ে যাবে।
ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন
আমাদের হাতকে শুষ্ক ও প্রাণহীন করে তোলার পেছনে আমাদের নিজস্ব অভ্যাসও জড়িত। হাত ধোয়ার পর যদি আমরা সেগুলোকে ময়েশ্চারাইজ না করি, তাহলে হাতের শুষ্কতা বাড়ে।
ঘন ঘন হাত ধোয়া ও জলের ব্যবহার শুষ্ক ও প্রাণহীন হাতের প্রধান কারণ। অতএব, যখনই আপনি আপনার হাত ধোবেন, তখন অবশ্যই তাদের উপর কিছু ভাল ক্রিম বা লোশন লাগান।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন
অ্যালোভেরা ত্বককে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করতে কাজ করে। তাই দিনে একবার অ্যালোভেরা জেল দিয়ে হাত ম্যাসাজ করুন। অ্যালোভেরা জেল ম্যাসাজের জন্য একটি তাজা কাঠি ব্যবহার করলে ভালো হবে। এটি আপনার হাতের ত্বকে সজীবতা আনবে।
নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন
নারকেল তেল চুলের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, এটি ত্বকের জন্যও কম উপকারী নয়।
দিনে একবার বা দুবার হাত ধোয়ার পর হালকা গরম নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে হাতের আর্দ্রতা বজায় থাকে। এই তেলে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড হাতের ত্বককে কোমল করতে কাজ করে। দিনে অন্তত দুবার নারকেল তেল দিয়ে হাত ম্যাসাজ করুন।
ভালো মানের হাত ধোয়া ব্যবহার করুন
হাতের ত্বকের ক্ষতি করতে হাত ধোয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই হাত ধোয়ার জন্য সবসময় ভালো হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করুন। আপনি যদি আপনার হাতে শুধুমাত্র তরল এবং হালকা হাত ধোয়া ব্যবহার করেন তবে ভাল হবে। এতে আপনার হাতের তেমন ক্ষতি হবে না।
No comments:
Post a Comment