ওজন বাড়ার সমস্যা আজকাল খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। এর কারণ বিশেষ করে আমাদের খাওয়ার অভ্যাস। আমাদের অধিকাংশই ভাজা জিনিস এবং চর্বি পূর্ণ সুস্বাদু খাবার পছন্দ করে থাকি।
বিশেষ করে শীতের মৌসুমে আমরা এসব জিনিস বেশি পছন্দ করি। তাই শীতে ওজন বাড়ে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
শুধু এটি কমাতে, ভাজা এবং টিনজাত জাঙ্ক-ফুডের পরিবর্তে আমাদের স্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ।
শীতের মৌসুমে আমরা প্রায়ই খাবারের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়ি এবং ভাজা জিনিস বেশি পছন্দ করি, তবে এটি আমাদের ওজনও বাড়িয়ে দিতে পারে।
চর্বিযুক্ত এ ধরনের জিনিস আমাদের হার্টেরও ক্ষতি করে। এর পাশাপাশি এমন কিছু খাবারও শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। যার কারণে আমাদের হার্টের সমস্যা ও ওজনও বেড়ে যায়।
এসব ছাড়াও এই ধরনের ফাস্ট ফুড আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও দুর্বল করে দেয়। তাই শীতকালে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। যাতে ওজনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো রাখা যায়।
শীতের সময় কিছু টিপস অবলম্বন করলে আমরা ওজন বাড়ার সমস্যা এড়াতে পারি। এই ব্যবস্থাগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সাথে সম্পর্কিত কিছু জিনিস ছাড়া কিছুই নয়, অর্থাৎ এতে কিছু পরিবর্তন রয়েছে।
আসুন জেনে নিই শীতে বাড়তে থাকা ওজন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
শীত মৌসুমে ওজন কমানোর উপায়:
অল্প খান কিন্তু স্বাস্থ্যকর খান
শীত মৌসুমে শরীরে খাবার হজম হতে সময় লাগে। সেজন্য মনে রাখতে হবে এই দিনগুলোতে সহজে হজম হয় এমন খাবারই খাওয়া উচিৎ।
বেশি ভাজা ও টিনজাত খাবার খাবেন না। কারণ বেশি চর্বিযুক্ত জিনিস আপনার ওজন বাড়াতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি প্রায়শই ভাল মানের চর্বিও হয় না।
তাই এগুলো হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসেও অনেক ক্ষতি করে। তাই ঠাণ্ডা মৌসুমে ভিটামিন ও খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরপুর এমন সব জিনিস খাওয়া উচিৎ। যাতে আমাদের স্বাস্থ্যও সুস্থ থাকে এবং ওজনও না বাড়ে।
শরীরে যেন জলের অভাব না হয়
শীতকালে আমরা প্রায়ই জল পান কম করি। যদিও এই সময়ে তৃষ্ণাও কম থাকে, তবুও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে দিনে আট থেকে দশ গ্লাস জল পান করা প্রয়োজন।
যাতে শীতের শুষ্ক মৌসুমে শরীরে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় থাকে। এর সাথে জল পান করলে আমাদের শরীরের ভেতর থেকে সব দ্রবণীয় টক্সিন অর্থাৎ বিষাক্ত উপাদান বেরিয়ে যায়।
জল পান করে আমাদের মেটাবলিজমও সুস্থ থাকে। এ ছাড়া জল পান করলে আমরা পূর্ণতা অনুভব করি এবং তেমন ক্ষুধাও অনুভব করি না। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে হলে শীতকালেও পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে।
গরম স্যুপ পান করুন
শীতকালে গরম স্যুপ বা ঝোলের নিজস্ব আনন্দ থাকলেও স্বাস্থ্যের দিক থেকে এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। শীতে গরম অনুভব করার পাশাপাশি আমরা স্যুপ থেকে অনেক পুষ্টিও পাই।
এটি আমাদের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। স্যুপ থেকে আমরা অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং মিনারেল ইত্যাদি পাই। এগুলো আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ক্রমবর্ধমান ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শীতকালে স্যুপ খেতে থাকুন।
আদা চা
শীতে আদা চায়ের কথা অন্যরকম। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি আদার মধ্যে এমন কিছু উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরে রক্তের গতি বাড়ায়।
এগুলো আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বির পরিমাণও কমায়। তাই শীতকালে আদা চা খেলে অন্যান্য সব উপকারিতা ছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও অনেক সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল
শীতকালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল খেলে শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শক্তিশালী থাকে না। বরং ওজনও বাড়ে না। ভিটামিন এবং মিনারেল ছাড়াও অনেক ফল ফাইটোকেমিক্যালের ভালো উৎস।
আপনি যদি কোলেস্টেরলযুক্ত ভাজা বা সুস্বাদু খাবারের পরিবর্তে এই ফলগুলি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করেন তবে এটি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হবে।
No comments:
Post a Comment