পিরিয়ডের সময় দই না খাওয়ার কথা আপনি নিশ্চয়ই আপনার বড়দের কাছ থেকে শুনেছেন। আসলে পিরিয়ডের সময় মহিলাদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে জরায়ু সংকোচন, ফুলে যাওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেয়।
ঠাণ্ডা ও টক জিনিস না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কথিত আছে টক ও ঠাণ্ডা জিনিস প্রদাহ বাড়ায়, যার কারণে ব্যথা আরও বেড়ে যায়।
দই যেমন ঠাণ্ডা তেমনি টক। তবে দই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত সম্পূর্ণ বিপরীত। আসুন জেনে নিই পিরিয়ডের সময় দই খাওয়া নিরাপদ কিনা?
দই না খাওয়ার চিন্তা একটা মিথ মাত্র।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় দই না খাওয়ার ধারণা একটি মিথ। আসলে, দইয়ে প্রোবায়োটিক রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে সহায়ক বলে মনে করা হয়।
পিরিয়ডের সময় দই খাওয়া মাংসপেশির ব্যথা এবং ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে। দই ক্যালসিয়ামেরও ভালো উৎস, তাই এটি হাড় মজবুত ও মজবুত করতে কাজ করে।
দই খেলে দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দইয়ে রয়েছে ভালো ব্যাকটেরিয়া যা হজমের সমস্যা কমায়। তাই পিরিয়ডের সময় আপনি আরামে দই খেতে পারেন। তবে তাজা দই খান।
রাতে দই খাবেন না:
আপনি যখনই দই খান, এটি দিনে নিজেই করুন, এটি রাতে করা উচিৎ নয়। তবে এই নিয়মটি কেবল সময়ের জন্য নয়, সাধারণভাবে সবার জন্য।
আসলে ঠান্ডা প্রকৃতির হওয়ায় রাতে দই খেলে পিত্ত ও কফ সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ে। অতএব, যে কোনও ক্ষেত্রে, দিনে সর্বদা দই খান এবং শুধুমাত্র তাজা দই খান।
পিরিয়ডের সময় এই জিনিসগুলি এড়িয়ে চলুন
আসলে পিরিয়ডের সময় মহিলাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়, মহিলাদের আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিৎ।
এ ছাড়া অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, অতিরিক্ত লবণ, অতিরিক্ত কফি খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত ও চর্বিযুক্ত খাবার এবং অ্যালকোহল সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment