খাওয়ার পর গন্ধযুক্ত গ্যাসের কারণ কী - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 21 February 2022

খাওয়ার পর গন্ধযুক্ত গ্যাসের কারণ কী



আজকের খারাপ জীবনধারা আমাদের জীবনকে খারাপভাবে প্রভাবিত করেছে।  এ কারণে বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হতে হয়।  এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস, বদহজম ও অ্যাসিডিটি। 


দুর্বল খাদ্যাভ্যাস, নিষ্ক্রিয় জীবনযাত্রার কারণে বেশিরভাগ মানুষই গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন।  অনেকে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে গ্যাস তৈরি করতে শুরু করে, এই সময় তাদের পেটে ব্যথা এবং ভারী হওয়ার সমস্যাও হয়।


  ফ্লোরেস হাসপাতালের পুষ্টিবিদ, গাজিয়াবাদ, গাজিয়াবাদের ফ্লোরেস হাসপাতালের ডায়েটিশিয়ান ডাঃ সবিতা থেকে জেনে নেওয়া যাক, খাবার খাওয়ার পর পেটে গ্যাস তৈরি হয় কেন?


 খাওয়ার পর গ্যাস কেন হয়? বা খাওয়ার পর গন্ধযুক্ত গ্যাসের কারণ :

 আগে গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা শুধু বয়স্কদের মধ্যে দেখা গেলেও বর্তমানে শিশু ও তরুণদের মধ্যেও গ্যাসের সমস্যা দেখা যাচ্ছে।  প্রত্যেক মানুষই মাঝে মাঝে গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকেন, এই সময়ে তাকে পেট ব্যাথা, পেট ফাঁপা বা ভারী হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।  আসুন জেনে নিই পেটে গ্যাস হওয়ার কারণ-


 বেশিরভাগ মানুষ বেশিরভাগই মশলাদার এবং মশলাদার খাবার পছন্দ করে।  এর প্রভাব সরাসরি পরিপাকতন্ত্রের উপর পড়ে।  এর কারণে গ্যাস, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পড়তে হয়।  যারা ঝাল -মশলাযুক্ত খাবার বেশি খান, তাদের খাবার খাওয়ার পর পেটে গ্যাস তৈরির সমস্যা বেশি দেখা যায়।


 জল কম পান করলে :

 যারা জল কম পান করেন, তাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়।  আপনিও যদি জল পান না করেন, তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন।  এটি পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়।  জল মলত্যাগের প্রক্রিয়া সহজ করে, গ্যাসের সমস্যা হয় না।


টক জিনিস খাওয়া:

 টক জিনিস আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কিন্তু টক খাবার বেশি খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।  যারা বেশি টক খান, তারা খাবার খেলে গ্যাস হতে পারে।  এছাড়াও, সকালে খালি পেটে টক খাবার খেলেও পেটে গ্যাস হতে পারে।  তাই টক খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।


খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে :

 যারা খাবার খেয়ে হাঁটেন, তারা খুব কমই গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পড়েন।  খাবার খাওয়ার পরপরই গ্যাস হয়ে গেলে তার মানে আপনি হাঁটছেন না।  খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে বা বসে থাকাও গ্যাসের কারণ হতে পারে।


 মানসিক চাপ এবং ঘুমের অভাব:

 মানসিক চাপ এবং অনিদ্রা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উপরও প্রভাব ফেলে।  যারা বেশি স্ট্রেস নেন, তাদের গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পড়তে হয়।  খাবার খাওয়ার পর পেটে গ্যাস তৈরি হয় না, এর জন্য মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন।  এর পাশাপাশি দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমও জরুরী।


 ময়দার তৈরি জিনিস খাওয়া:

 ময়দা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।  এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।  আসলে, আমাদের শরীর সহজে ময়দা হজম করতে পারে না, যার কারণে আমাদের গ্যাস বা বদহজমের সমস্যায় পড়তে হয়।  তাই গ্যাস এড়াতে ময়দা দিয়ে তৈরি জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে।  অনেকে আবার ময়দার তৈরি জিনিস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্যাসের অভিযোগও করেন।


 খাবারে ফাইবারের অভাব:

 ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।  তাই আমাদের খাদ্যতালিকায় ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।  যারা ফাইবার খান না তাদের অতিরিক্ত গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হয়।  ফাইবার পেতে, আপনার খাদ্যতালিকায় আরও ফল এবং সবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।


 অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে :

 এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকার কারণে আজকাল বেশিরভাগ মানুষই গ্যাস পাচ্ছেন।  খাবার খাওয়ার পর পেটে ব্যথা হলে বা গ্যাস তৈরি হলে নিজেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখুন।  শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকাও গ্যাসের কারণ হতে পারে।


 যদি এমন খাবার খেয়ে গ্যাস হয় , তাহলে এই কারণগুলো শুধরে নিন।  স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং সক্রিয় জীবনযাপনের মাধ্যমে আপনি অবশ্যই গ্যাস, বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।


বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।

 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad