শীতের মৌসুমে যদি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে মাখন ব্যবহার করা হয়, তবে তা প্রতিটি ত্বকের জন্যই উপকারী। এতে উপস্থিত ভিটামিন ই ত্বকের পিগমেন্টেশন কমায় এবং মুখের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ঘরে তৈরি আসল মাখনে ভিটামিন ই থাকে যা ত্বকের কোলাজেন বজায় রাখতেও সাহায্য করে। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে কোলাজেন ত্বকে বলিরেখা রোধ করে এবং ত্বককে সবসময় তরুণ এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
মাখন প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং অ্যান্টি মার্কস ক্রিম হিসেবেও কাজ করে। তাই কীভাবে আপনি কম ত্বকের যত্নে মাখন অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন? জেনে নেওয়া যাক
বাড়িতে প্রথমে এভাবে মাখন তৈরি করুন:
প্রতিদিন দুধ থেকে ক্রিমটি বের করে ফ্রিজে রেখে দিন। ২ কাপ ক্রিম জমে গেলে ফ্রিজার থেকে বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কমপক্ষে ৪ ঘন্টা রাখুন।
এখন একটি পাত্রে এই ক্রিমটির সাথে কমপক্ষে ২ কাপ ঠান্ডা জল রেখে মূত্রাশয়ে মিশিয়ে নিন। ব্লেন্ড করার পর দেখবেন জল ও ক্রিম আলাদা হয়ে গেছে। এবার একটি পাত্রে জল থেকে এই মাখন আলাদা করুন। আপনার ঘরে তৈরি মাখন প্রস্তুত।
মাখন দিয়ে এভাবে ময়েশ্চারাইজার তৈরি করুন।
প্রথমে বাড়িতে মাখন তৈরি করে অলিভ অয়েল বা মধু নিন। এবার একটি পাত্রে সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। নরম পেস্ট হয়ে এলে একটি এয়ার টাইট পাত্রে রেখে ফ্রিজে রেখে দিন।
এবার এই ময়েশ্চারাইজারটি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক শুষ্ক হলে সারারাত রেখে দিন।
এই ময়েশ্চারাইজারের উপকারিতা:
মাখন দিয়ে তৈরি এই ময়েশ্চারাইজার লাগালে আপনার ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেটেড থাকে।
এটি ত্বকে পরিপূর্ণ পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের কোষগুলোকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মাখনে রয়েছে ভিটামিন ই যা ত্বককে ভিতর থেকে নিরাময় করে।
এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক পরিষ্কার ও রক্ষা করতে সাহায্য করে।
এতে পাওয়া ফসফোলিপিড ত্বকের উপরের স্তর পরিষ্কার করে এবং সংশোধন করে।
মাখনে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং রেটিনল যা ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে।
এটি অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ এবং ত্বকে বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা দেখা থেকে বিরত রাখে।
No comments:
Post a Comment