আমাদের প্রত্যেকেরই আমাদের ত্বককে তরুণ রাখার ইচ্ছা থাকে, তবে এর জন্য এটির বিশেষ যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে।
কারণ আজকাল ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে আমাদের ত্বক খুব শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। কারণ এই ঋতুতে আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা চুরি হয়ে যায়, যার কারণে ত্বকে সহজেই বলিরেখা পড়তে শুরু করে। এমতাবস্থায় ত্বককে কোমল করতে এবং তার উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এখানে এমন কিছু সহজ এবং ঘরোয়া প্রতিকারের কথা জানাবো যেগুলো অবলম্বন করে আমরা শীতকালেও আমাদের ত্বককে সুস্থ, কোমল ও উজ্জ্বল রাখতে পারি। আসুন জেনে নেই এই ৫টি বিষয় সম্পর্কে।
কলা
কলা পটাসিয়াম এবং ভালো চর্বি সমৃদ্ধ। এর ব্যবহার আমাদের ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে সতেজতায় ভরে দেয়। এর জন্য একটি কলা নিয়ে ভালো করে মাখুন এবং এবার এই পেস্ট দিয়ে ঘাড় ও মুখে ম্যাসাজ করুন।
কিছুক্ষণ পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি দেখতে পাবেন যে এর ফলে আপনার ত্বকে কোন শুষ্কতা থাকবে না এবং এটি আগের থেকে অনেক নরম এবং তরুণ দেখাতে শুরু করেছে।
মধুর ব্যবহার ত্বকের জন্য কোনো ওষুধের থেকে কম নয়। ফুলের পরাগ থেকে তৈরি মধু ত্বকের পুষ্টির পাশাপাশি মৃত কোষ দূর করতেও কাজ করে। সঠিক পরিমাণে নিয়ে মুখে লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এখন আপনার ত্বক আগের চেয়ে নরম এবং আরও তারুণ্য দেখাতে শুরু করবে।
বাদাম তেল
বাদাম তেল ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ। মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে এর উপকারিতা আরও বেড়ে যায়। এর জন্য সমপরিমাণে বাদাম তেল ও মধু মিশিয়ে নিন। তারপর ঘাড়ে ও মুখে ম্যাসাজ করে লাগান, কিছুক্ষণ পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক বেশি তারুণ্য এবং উজ্জ্বল দেখাবে।
জলপাই তেল
অলিভ অয়েল শুধুমাত্র ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ নয়, এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে। যা ত্বক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যারও সমাধান করে। দুধের সাথেও লাগালে ভালো হয়। এই তেল দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করলে ত্বক হবে কোমল ও উজ্জ্বল।
দুধ
দুধ বিভিন্ন খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। এতে চর্বিও পাওয়া যায়। দুধ বা এর ক্রিম মুখের পাশাপাশি হাত ও পায়ে লাগালে, বিশেষ করে শীতকালে আমাদের ত্বক নরম ও চকচকে থাকে। তিলের তেলের সাথে দুধের ক্রিম মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ভালো হয়।
No comments:
Post a Comment