আনিসের বাবাকে নবান্নে ডেকে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 21 February 2022

আনিসের বাবাকে নবান্নে ডেকে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী


হাওড়া: আনিসের বাবা সালেম খানকে নবান্নে ডেকে পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার দু'দিন পর মৃত ছাত্র নেতার পরিবারের সদস্যকে দেখে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৃত ছাত্র নেতার বাবা। 


আনিসের বাবা জানান, রবিবার মধ্যরাতে মুখ্যমন্ত্রীর পিএ-র পরিচয় দিয়ে তাদের বাড়িতে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী ডেকে পাঠানোর কথা বলার পাশাপাশি টাকা ও চাকরি দেওয়ার কথাও বলেন ওই ব্যক্তি। আনিসের বাবা বলেন, 'আমি লোভি নই, আমার ছেলে চলে গেল, বাড়িতে এসে পুলিশ প্রশাসন মার্ডার করে দিয়ে গেল, আর তারাই এসেছে চাকরি আর টাকার লোভ দেখাতে!' 


ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে কী কারণে আসা! দরকার কী আসার! আনিসের বাবার দাবী, ছেলের মৃত্যুর তদন্ত সিবিআই করুক, তিনি সঠিক বিচার চান। ছেলের নিরাপত্তার জন্য আগেই পুলিশ প্রশান থেকে শুরু করে নবান্নেও চিঠি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তখন কেউ খোঁজ করেনি, নিরাপত্তা দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন মৃত আনিসের বাবা। 


উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়া এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে আনিস খানকে খুনের অভিযোগ ওঠে।  চারজনের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা থাকলেও বাকিদের শরীরে জলপাই রঙের পোশাক পড়া ছিল বলেই মৃতের পরিবাররের দাবী।  এনআরসি আন্দোলন সহ বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে ওতঃপ্রোত ভাবে যুক্ত ছিল আনিস এবং তাঁর বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত থাকার কথাও জানান পরিবারের সদস্যরা। অতি সম্প্রতি আনিস আইএসএফ দলে যোগ দিয়েছিলেন। 


আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি। অপরাধীদের শাস্তির দাবীতে দফায় দফায় বিক্ষোভ, রাস্তা, অবরোধ, থানা ঘেরাও এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াও উত্তাল হয়ে ওঠে। দু'দিনেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে এখনও কোনও অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের উর্দিতে কারা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতাকে খুন করল, তার কিনারা এখনও হয়নি ৷ কড়া পুলিশি পাহাড়া আনিস খানের বাড়িতে। তারমধ্যেই পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় আনিসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। আনিসের মত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবী জানিয়েছেন তাঁর বাবা। একই দাবী করা হয়েছে পরিবার ও প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad