তরমুজের গুণাগুণ - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 22 February 2022

তরমুজের গুণাগুণ


রসালো, লাল-লাল এবং অত্যন্ত সুস্বাদু তরমুজ স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী।  তরমুজে ৯২ শতাংশ জল থাকে। গ্রীষ্মে এই ফলটি খেলে শরীরে জলের অভাব পূরণ হয় এবং শরীরে প্রচুর এনার্জি থাকে।  পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, বি৬, সি এবং ডি এবং লাইকোপেনের মতো পুষ্টি উপাদান তরমুজে পাওয়া যায়।  তাই এই ফলটিকে খুবই উপকারী মনে করা হয়।  তবে এটি খাওয়ার আগে কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরী তা না হলে সমস্যা হতে পারে।  আসুন জেনে নিই তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা।

উপকারিতা -

তরমুজে ক্যালোরি ও চর্বি নগণ্য এবং জলের পরিমাণ ৯২ শতাংশ। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এই ফলটি খুবই উপকারী।

এতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ভিটামিন বি৬ এবং আয়রন লাল রক্তকণিকা বাড়ায় এবং অ্যান্টিবডি তৈরিতেও সাহায্য করে।

তরমুজ হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে।  এতে পাওয়া ৯২ শতাংশ জল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সহায়ক।  এছাড়াও ত্বককে করে তোলে সুস্থ ও উজ্জ্বল।

তরমুজ এলডিএল নামক খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তনালীতে ফ্যাট জমা হতে বাধা দেয়।  এতে হার্ট সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি কমে।

তরমুজ খাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন -

দিনে ৪০০-৫০০ গ্রাম তরমুজ খাওয়া যথেষ্ট। এটি বেশি খেলে অতিরিক্ত হাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে।  এর সঙ্গে লুজ মোশন, গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে।

তরমুজ খাওয়ার পরে জল পান করা উচিৎ নয়। কারণ এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে জল এবং ফ্রুক্টোজ রয়েছে, সেক্ষেত্রে হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।

রাতে তরমুজ খেলে ওজন বাড়ে, সেই সঙ্গে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে।

যারা প্রতিদিন মদ্যপান করেন, তাদের তরমুজ খাওয়া উচিৎ নয়।  তারা লিভারের প্রদাহের অভিযোগ করতে পারেন।

ডায়াবেটিস রোগীদের সীমিত পরিমাণে তরমুজ খাওয়া উচিৎ, নয়তো শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad