শিশুদের চঞ্চল প্রকৃতির হয়। বড়দের মনও চঞ্চল হলেও সময়ের সাথে সাথে একটু সিরিয়াস হয়ে যায়। এই চঞ্চল মনের কারণে শিশুরা প্রায়ই ভুল করে বা বুলি করে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের বোঝানোর জন্য মারধর করা ঠিক নয়। এ ছাড়া শিশুদের খারাপ কথা বলা, গালাগালি করা, তিরস্কার করা, তিরস্কার করাও ঠিক নয়। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, এই জিনিসগুলি শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলে এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি তাদের প্রকৃতি এবং জীবনকেও প্রভাবিত করে।
শিশুরা যে কাজই করুক না কেন, তা তাদের নিজেকে প্রকাশের ধরন। তাই যেকোনো কাজের পেছনে তাদের উদ্দেশ্য কী তা বোঝা খুবই জরুরি। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে বাচ্চাদের বোঝানোর সর্বোত্তম উপায় কী এবং আপনি কীভাবে আঘাত বা তিরস্কার না করে বাচ্চাদের কাছে আপনার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেন।
আপনি রেগে গেলে গণনা করুন
বাচ্চাদের বোঝানোর আগে, আপনার রাগ শান্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। মারতে বা হাত তোলার বিষয়টি সাধারণত রাগের কারনে আসে। অতএব, সন্তানের উপর যে কোনও বিষয়ে রাগ হওয়ার সাথে সাথেই প্রথমে 10 থেকে 1 পর্যন্ত কাউন্টডাউন গণনা শুরু করুন। 10 সেকেন্ড পর যখন আপনার মন কিছুটা শান্ত হবে, তখন পুরো পরিস্থিতিটি একবার দেখুন এবং চিন্তা করুন কেন শিশুটি এমন করতে পারে। আপনি যদি মনে করেন যে শিশুটি একটি বড় ক্ষতি করেছে বা সত্যিই কিছু ভুল করেছে, এটি ব্যাখ্যা করার সময়। কিন্তু বেশির ভাগ সময় বাচ্চাদের দোষ এত বড় হয় না যে আপনি তাদের উপর রেগে যান।
শিশুকে এভাবে ভুল বুঝতে দিন
একবার ভুলটি পরিষ্কার হয়ে গেলে আপনাকে বাচ্চাকে আঘাত বা বকাঝকা করতে হবে না। বরং আপনাকে সেই শিশুকে তার ভুল বুঝতে হবে। মনে রাখবেন যে আপনি যদি আঘাত করা বা তিরস্কার করা বেছে নেন, তাহলে শিশুটি কয়েক দিনের মধ্যে আপনার আঘাত এবং তিরস্কারে অভ্যস্ত হয়ে যেতে পারে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করবে। কিন্তু আপনি যদি তাকে তার ভুল বুঝতে পারেন তাহলে সে সহজেই বুঝতে পারবে। এ জন্য শিশুকে বুঝিয়ে বলুন সে কী ক্ষতি করেছে বা তার সিদ্ধান্ত কীভাবে তার এবং তার পরিবারের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে চলেছে। একইভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী পদ্ধতি বেছে নিন।
বাচ্চাদের ভুলের শাস্তি দেওয়ার ধরন এরম হওয়া উচিৎ
ভুল করলে শাস্তি দিতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু এই শাস্তি আঘাত করা, তিরস্কার করা বা এমন করা উচিৎ নয়, যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। পরিবর্তে, আপনি শিশুকে সৃজনশীল শাস্তি দিতে পারেন, যা তাকে ভুলটিও উপলব্ধি করবে এবং সে উৎপাদনশীল কিছু করতে সক্ষম হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি শিশুকে ঘর ঝাড়ু দেওয়া, থালা-বাসন ধোয়া, পকেটের টাকা কমানো, সপ্তাহান্তের পরিকল্পনা স্থগিত করা, নিজের জামাকাপড় ধোয়া, মোছা, গাছপালা জল দেওয়ার মতো কাজ করতে বলতে পারেন। সাধারণত এসব কাজ শিশুরা পছন্দ করে না, তাই এগুলো তাদের জন্য শাস্তির মতো।
No comments:
Post a Comment