যারা ভাত-রুটি খাচ্ছেন, সতর্ক থাকুন। কারণ এটি সুগার রোগীদের জন্য ভালো নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের নিজের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ, কারণ এটি এমন একটি রোগ যা একবার হয়ে গেলে সারাজীবন সাথে চলতেই থাকে। জীবনযাত্রার অবনতি, মানসিক চাপ এবং খাবারে বাইরের খাবার অন্তর্ভুক্ত করার কারণে বেশিরভাগ মানুষ ডায়াবেটিসের শিকার হন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি হলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক যে কোন খাবার খেলে চিনির মাত্রা বেড়ে যায় এবং কোন খাবারে নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আছে এমন খাবার খান -
যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, এই জাতীয় লোকদের নিয়মিত ওষুধ খাওয়া উচিৎ। তবে একই সাথে তাদের ডায়েটে এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। কারণ কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়াবেটিস রোগীরা এসব খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন -
সাদা ভাত এবং রুটিতে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং প্রোটিন এবং ফাইবার কম থাকে, যার কারণে তারা দ্রুত চিনি বাড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিস রোগীকে এসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারে এই জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ -
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় অ্যাভোকাডো অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। আসলে, অ্যাভোকাডো হল সুগারের রোগীদের জন্য সেরা খাবার, যাতে চিনির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এই খাবারটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগায়।
মাছ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এতে চর্বি কম থাকে। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খাওয়া উচিৎ। কারণ এটি সুগার রোগীদের জন্য উপকারী।
রসুন সাধারণত সব মানুষই তাদের সবজিতে ব্যবহার করে। এটি দ্বারা চিনি নিয়ন্ত্রণ হয়। অনেক গবেষণায় জানা গেছে যে রসুন খেলে ফাস্টিং সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment