খাবারের স্বাদ বাড়াতে বেশিরভাগ বাড়িতেই কারি পাতা ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ ভারতের কথা বললে, সেখানকার প্রতিটি খাবারই এটি ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। তা টেম্পারিং বা রেসিপি সাজানোর জন্যই হোক। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি অনেক রোগ থেকেও রক্ষা করে ।
ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন B1, B2, C এর মতো পুষ্টি উপাদান কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কারি পাতা খাওয়ার দারুণ উপকারিতা রয়েছে।
খালি পেটে কারি পাতা খাওয়ার উপকারিতা
দ্রুত ওজন হারান
কারি পাতার এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে আপনার ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর পাশাপাশি দ্রুত ওজন কমানো হয়। এর জন্য প্রথমে নিম বা তুলসী পাতা খান। এর পর কারি পাতা চিবিয়ে নিন। এ ছাড়া আপনি চাইলে কারি পাতার ক্বাথ তৈরি করে পান করতে পারেন। এর জন্য একটি প্যানে ১ গ্লাস জল দিন। এতে 10-12টি কারি পাতা যোগ করুন এবং এটি সিদ্ধ করুন। জল অর্ধেক থেকে গেলে পান করুন।
পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে
আপনি যদি সবসময় পেট সংক্রান্ত সমস্যা যেমন পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, বদহজম ইত্যাদি নিয়ে অস্থির থাকেন, তাহলে সকাল সকাল কারি পাতা চিবিয়ে খান। এতে উপকার হবে। এছাড়া টক দই বা ছানার সাথে কারি পাতা খেতে পারেন।
ব্রেনস্টর্ম তেজপাতা
আপনার মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ এবং শক্তিশালী করে তোলে। যদি কারো আলঝেইমারের সমস্যা থাকে তাহলে কারি পাতা খান। এতে উপকার হবে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়:
কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে, যা আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কারি পাতা খান।
রক্তশূন্যতা থেকে মুক্তি পান
কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি রয়েছে। যা আপনার শরীরে রক্তের অভাব পূরণ করে।
No comments:
Post a Comment