কারো সামনে গেলে সবার আগে তার মুখ আসে। মুখের সৌন্দর্যের জন্য যতটা চোখ, নাক, কান ও ঠোঁট প্রয়োজন, চোখের পাপড়িও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই চোখের পাতাগুলির কারণে চোখগুলিও খুব সুন্দর দেখায়। প্রায়শই লোকেরা এই কারণে বিরক্ত হয় যে যখনই তারা তাদের চোখ ঘষে তখনই চোখের পাতা ভেঙ্গে যায়। ঘন ঘন চোখের পাতা ভেঙে যাওয়ার কারণে চোখের পাতা নষ্ট হয়ে যায়। চোখের পাপড়ি কমে গেলে মুখের সৌন্দর্য কমতে থাকে। আপনি যদি এই সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে আজকে আমরা আপনাকে এমন কিছু খাবারের কথা বলব, যা চোখের পাপড়ি ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দ্রুত নিরাময় করবে।
প্রতিদিন ডিম খান
ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ। চুল এবং চোখের পাতা উভয়ই কেরাটিন দ্বারা গঠিত। ডিমে উপস্থিত প্রোটিন শরীরকে কেরাটিন তৈরির জন্য সঠিক পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড পেতে সাহায্য করে। এটি চোখের পাতাকে শক্তিশালী এবং দীর্ঘ করে তোলে।
স্যামন
স্যামনে ভালো পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি রয়েছে। তিনটিই চোখের পাতার জন্য উপকারী। ভিটামিন বি এবং ডি চোখের পাতা বাড়াতে কাজ করে, অন্যদিকে ওমেগা থ্রি অ্যাসিড চোখের পাতা ভাঙতে বাধা দেয়।
ফল ও শাকসবজি
ফলমূল ও শাকসবজিতে ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এই ভিটামিনগুলি চোখের পাতা এবং কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধিতে উপকার করে। ফল ও সবজির খোসায়ও সিলিকা থাকে। এটি চোখের পাতা লম্বা এবং স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে।
মটরশুটি
মটরশুঁটিতে রয়েছে ভিটামিন এইচ এবং ফলিক অ্যাসিড। এটি উভয় চোখের পাতার জন্য উপকারী। ভিটামিন এইচ চুলের ফলিকলগুলিতে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। এটি চোখের পাতা পুরু করে এবং তাদের পড়া রোধ করে। এটি শরীরকে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং চর্বি শোষণ করতে সাহায্য করে।
গোটা শস্যে
ভিটামিন B6 এবং আয়রন থাকে যা চোখের পাপড়ির জন্য উপকারী। ভিটামিন বি৬ মেলানিনের উৎপাদন বাড়ায়। এটি চোখের পাতা রঙ দেয়। অন্যদিকে, আয়রন চুলের ফলিকলে জমা হয় এবং চোখের পাপড়িকে দুর্বল হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে।
No comments:
Post a Comment