প্রস্রাব একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এবং এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজনীয়। প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরে উৎপন্ন টক্সিন বের হয়ে যায়। তবে প্রস্রাবের কাজ এখানেই শেষ নয়। বরং এটি স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কেও বলে।তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো ।
প্রস্রাবের রঙ নিয়ে কথা বলার আগে অবশ্যই প্রস্রাবের পরিমাণের দিকে আর দিনে কতবার প্রস্রাব করা হয় এই বিষয়গুলি জানা গুরুত্বপূর্ণ।
হাল্কা হলুদ:
হাল্কা হলুদ রঙও একটি লক্ষণ যে দিনে যে পরিমাণ জল পান করা তা শরীরের জন্য যথেষ্ট নয়। এছাড়া কিডনি রোগ বা ডায়াবেটিসের কারণেও প্রস্রাবের রং হাল্কা হলুদ হয়।
গাঢ় হলুদ:
প্রস্রাবের ঘন হলুদ রঙ শরীরে জলশূন্যতার লক্ষণ। দুধ, লেবুপানি এবং নারকেল জল পান করে শরীরে হাইড্রেশনের অভাব পূরণ করতে হবে।
মেঘলা বা আবছা রং:
প্রস্রাবের বিবর্ণতা অনেক গুরুতর সংক্রমণের লক্ষণ। এটি মূত্রাশয় সংক্রমণের কারণে এবং অন্যান্য অনেক গুরুতর রোগের কারণেও হতে পারে।
লাল রঙের প্রস্রাব:
বিভিন্ন কারণে প্রস্রাবের রং লাল হয়। খাদ্যতালিকায় বিটরুট খাওয়া বা এর রস পান করলে প্রস্রাবের রং লাল হয়ে যায়। ওষুধের কারণেও এমনটা হয়।
প্রস্রাব বাদামী :
লিভার বা পিত্তথলিতে সংক্রমণের কারণে বাদামী রঙের প্রস্রাব আসে। এগুলি ছাড়াও, পিত্ত নালীতে বাধা বা ক্ষতের কারণেও এটি হতে পারে। মূত্রাশয়ের সংক্রমণও এর কারণ হতে পারে।
সবুজ-বাদামী প্রস্রাব:
ওষুধ অতিরিক্ত খাওয়া, রঙিন খাবারের অতিরিক্ত খাওয়া এই অদ্ভুত রঙের প্রস্রাবের কারণ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment