ব্যস্ততাময় জীবনে অনেক সময় হঠাৎই মন খারাপ হয়ে যায় এবং মনে হয় সবকিছু ছেড়ে কোথাও চলে যাই।তাহলে ঋষিকেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই শহরটি মনকে প্রশান্তি দেয়।
লক্ষ্মণ ঝোলা:
ঋষিকেশে, লক্ষ্মণ ঝোলা নামে গঙ্গা নদীর উপর একটি সেতু রয়েছে। কথিত আছে ত্রেতাযুগে ভগবান শ্রীরামের ভাই লক্ষ্মণ এই স্থানে পাটের দড়ির সাহায্যে নদী পার হয়েছিলেন। স্বামী বিশুদানন্দের অনুপ্রেরণায় কলকাতার শেঠ সুরজমল ঝুহানুবলা ১৮৮৯ সালে শক্ত লোহার তার দিয়ে একটি সেতু তৈরি করেছিলেন, কিন্তু ১৯২৪ সালের বন্যায় এই সেতুটি ভেসে যায়। এরপর আবারও মজবুত ও আকর্ষণীয় সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুর পশ্চিম দিকে লক্ষ্মণের মন্দির তৈরি করা হয়েছে।।
নীড়গড় জলপ্রপাত:
এই জলপ্রপাত হল ঋষিকেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। বিপুল সংখ্যক স্থানীয় ও বহিরাগতরা এখানে আসেন।
কুঞ্জপুরী মন্দির:
কুঞ্জপুরী মন্দির উত্তরাখণ্ডের তেহরির ঋষিকেশ থেকে প্রায় ২৭ কিমি দূরে। এই মন্দিরটি মাতা সতীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এখানে যেতে হলে ট্রেক করতে হবে, তবে সকালে এখানকার দৃশ্য খুব সুন্দর দেখায়।
রাজাজি জাতীয় উদ্যান:
এই জায়গাটি প্রকৃতি প্রেমী এবং বন্যপ্রাণী উৎসাহীদের জন্য খুবই বিশেষ। এটি দেশের অন্যতম প্রধান বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি দেখতে পাবেন।
No comments:
Post a Comment