দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম আসামে সঙ্কটের ঘনঘটা। প্রবল বন্যা এখানে যেন ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছে, এর কারণে ১৯০ জন মারা যায়। রাজ্যের ১১টি জেলা বন্যার জলে তলিয়ে গেছে। এর কবলে এখনও প্রায় ৯ লাখ মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় এক শিশুসহ আরও ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কাছাড় ও নগাঁও জেলায় দুইজন ডুবে এবং হাইলাকান্দিতে ভূমিধসে একজনের মৃত্যু হয়।
আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ASDMA) অনুসারে, বজলি, কাছাড়, চিরাং, ডিব্রুগড়, হাইলাকান্দি, কামরুপ, করিমগঞ্জ, মরিগাঁও, নগাঁও, শিবসাগর এবং তামুলপুর জেলায় বন্যার কারণে মোট ৮,৮৮,১৭৭ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কাছাড় জেলায়। এখানে ৫.৬৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার পরে মরিগাঁও এবং নগাঁও, যেখানে ১.৫২লক্ষ এবং ১.৪৪ লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে।
ASDMA রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ৬২০টি গ্রামে এখনও বন্যার জলে রয়েছে। ১৪,৪০২ হেক্টরের বেশি ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ ১০টি জেলায় ১৭৩টি ত্রাণ শিবির চালাচ্ছে, যেখানে ৭৫,১৮৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
বরপেটা, বিশ্বনাথ, বোঙ্গাইগাঁও, দাররাং, মাজুলি, মরিগাঁও, নলবাড়ি, তামুলপুর, তিনসুকিয়া এবং উদালগুড়ি জেলায় বড় আকারের ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে, অন্যদিকে দক্ষিণ আসামের হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জ জেলায় কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
করিমগঞ্জ, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, মরিগাঁও, শিবসাগর, বরপেটা, কামরুপ এবং মাজুলি জেলায় বন্যার জলে সেতু, বাঁধ এবং রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বন্যায় চার জেলায় মোট ১,৪২,১৭৩টি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment