প্রতিটি মানুষ একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, কিছু লোক সেই উদ্দেশ্য অর্জনে সফল হয়, আবার কিছু লোক বিপথগামী হয়। পথভ্রষ্ট মানুষ শুধু উদ্দেশ্যহীন জীবনই যাপন করে না, তারা তাদের জীবনে সুখ, সাফল্য, শান্তি ইত্যাদি অর্জন করতেও অক্ষম হয়। চাণক্য নীতি বলে যে একজন ব্যক্তির কোন অভ্যাস এবং গুণাবলী গ্রহণ করা উচিত এবং কোনটি থেকে দূরে থাকা উচিত। আজ আমরা চাণক্য নীতিতে উল্লিখিত সেই জিনিসগুলির সম্পর্কে জানব, যেগুলির অনুপস্থিতি কোনও ব্যক্তিকে পশুর মতো জীবনযাপন করতে বাধ্য করে।
এসব ছাড়া জীবন অচল
আচার্য চাণক্য তার নীতিশাস্ত্র চাণক্য নীতিতে একটি শ্লোকের মাধ্যমে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।
'যিশাম, ন জ্ঞান ন তপো, ন দান, জ্ঞান, ন বিনয়, ন গুণ ন ধর্ম।
তে মাত্র্য লোকে ভুবি ভারভূত মানব রূপ মৃগশ্চরন্তি।
এই শ্লোকের মাধ্যমে আচার্য চাণক্য কিছু জিনিসের গুরুত্ব বলেছেন এবং বলেছেন যে যাদের কাছে এসব নেই তাদের জীবন পশুর মতো বা এই ধরনের মানুষ পৃথিবীর বোঝার মতো।
জ্ঞান: যে ব্যক্তির জ্ঞান নেই বা যে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করে না, তার জীবন পশুর মতো। জ্ঞানের সম্পদ ছাড়া মানুষের জীবন অকেজো।
ধর্ম-তাপস: যারা ধর্ম-কর্ম করে না, আধ্যাত্মিক সাধনা-ভক্তি করে না, তাদের জীবনও অকেজো। এই ধরনের লোকেরা না জীবনে শান্তি পায়, না তাদের জন্মের উন্নতির জন্য কিছু করতে পারে।
দাতব্য: যে ব্যক্তি তার জীবনে কাউকে সাহায্য করেনি বা যে কখনো কাউকে সাহায্য করেনি, তার জীবনও সম্পূর্ণ অকেজো। এমন লোকের টাকাও তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যারা শুধু নিজের জন্য জীবনযাপন করে, তাদের জীবন পশুর মতো।
No comments:
Post a Comment