প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, যখন এই ঘটনা ঘটে, তখন প্রায় ১২ হাজার যাত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই অমরনাথ যাত্রা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, অমরনাথ গুহা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অমরনাথ গুহার নিচে মেঘ ফেটে প্রচুর পরিমাণে জল বয়ে যায়। এতে সেইসময় পাঁচজনের মৃত্যু ও বহু লোক নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং সমস্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থা ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
সংস্থাটি আইটিবিপি-র বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির পর হঠাৎ ওপর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল নেমে আসে। এ সময় প্রায় ২৫টি তাঁবু ও ২টি ল্যাঙ্গার ধ্বংস হয়। আইটিবিপি জানিয়েছে, এখন বৃষ্টি থেমে গেছে এবং দ্রুত ত্রাণ কাজ করা হচ্ছে। আইটিবিপি অন্যান্য সংস্থার সাথে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিযুক্ত রয়েছে। উদ্ধার অভিযানের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে এবং আহতদের বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারি বর্ষণের পর যে জল এসেছে তার খবরও পাচ্ছেন অনেকে। অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার জন্য যাত্রী তাঁবুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কাশ্মীর পুলিশ তার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করেছে যে, পবিত্র গুহার কাছে ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক ল্যাঙ্গার সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে রাজ্য পুলিশ বাহিনীও। আহতদেরও বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
টানা বর্ষণে অনেক পলি ও জল বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীদের অনেক অসুবিধার মধ্যেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করেছেন। তিনি বলেন, 'আমি এলজি মনোজ সিনহা জির সাথে কথা বলেছি এবং বাবা অমরনাথ জির গুহার কাছে মেঘ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। এনডিআরএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। মানুষের জীবন বাঁচানোই আমাদের প্রাথমিকতা। সকল ভক্তের মঙ্গল কামনা করছি।'
এনডিআরএফের ডিজি অতুল কারওয়াল বলেছেন, আমাদের একটি দল গুহার কাছে অবস্থান করছে, দুর্ঘটনার পর সেই দলটি উদ্ধার কাজ শুরু করে। ২ টি দল কাছাকাছি ছিল, যার মধ্যে একটি উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে এবং অন্যটি দিতে চলেছে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment