সুদানে ব্যভিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এক নারীকে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত এক দশক ধরে সুদানে এমন কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। হোয়াইট নীল নদ থেকে মরিয়ম আলসায়েদ তাইরাব নামে ২০ বছর বয়সী এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিষয়টি এখন হাই কোর্টে তোলা হবে। হাইকোর্টও এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এখানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অনেক নারী অধিকার সংগঠন। উগান্ডা ভিত্তিক আফ্রিকান সেন্টার ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস স্টাডিজ (এসিজেপিএস) এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে এবং বলেছে যে কোনও শর্ত ছাড়াই অবিলম্বে ওই নারীকে মুক্তি দেওয়া উচিৎ। এসিজেপিএস দাবী করেছে যে মহিলাটিকে যথাযথ আইনি সহায়তাও দেওয়া হয়নি এবং তার মামলাটিও সঠিকভাবে শোনা হয়নি।
কেন্দ্র বলেছে, ব্যভিচারের জন্য কাউকে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি জীবনের অধিকারও লঙ্ঘন করে। এ ধরনের অমানবিক কাজ, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতা বন্ধ করা দরকার। সুদানে সামরিক শাসন জারির পর দেশটি আবার রক্ষণশীল পথে ফিরতে পারে বলে অনেকেই চিন্তিত। এই সিদ্ধান্তকেও একই বিষয়ের ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এখানে শেষবার এই ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল ২০১৩ সালে। ২০২০ সালে সরকার এখানকার আইনে যে সংস্কার করেছে তাও স্পষ্টভাবে পাথর ছোঁড়ার শাস্তিকে বাদ দেয়নি। জাতিসংঘেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
No comments:
Post a Comment