ঝাড়খণ্ডের প্রধানখন্তা স্টেশন সংলগ্ন ছাত্তাকুলি গ্রামে রেলপথের নীচে আন্ডারপাস নির্মাণের সময় মাটি ধসে মারা গেছে সেখানে কাজ করা চার শ্রমিক। মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আধিকারিকরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান সবাই। যেখানে উদ্ধারের সময় ধ্বংসস্তূপ থেকে চার শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য সমস্ত মৃতদেহ এসএনএমএমসিএইচে পাঠানো হয়েছে। নিহত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন 45 বছর বয়সী নিরঞ্জন মাহাতো, 40 বছর বয়সী পাপ্পু কুমার মাহাতো, 30 বছর বয়সী বিক্রম কুমার মাহাতো এবং 25 বছর বয়সী সৌরভ কুমার ধীভার।
সেখানে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ চলছিল। মঙ্গলবার নির্মাণের সময় হঠাৎ ওপরের মাটি তলিয়ে যায়। সেখানে কাজ করা ছয় শ্রমিক মাটিতে চাপা পড়েন। যার মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শ্রমিক। এ ঘটনার পর থেকে শ্রমিক ও তাদের পরিবারের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনার খবর পেয়ে ডিআরএম আশিস বনসাল, সহকারী কমান্ড্যান্ট আরপিএফ এবং জিআরপি-র ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
এ ঘটনার পর নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ক্ষুব্ধ স্বজনরা গভীর রাতে ডিআরএম এবং অন্যান্য আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বাধা দেয়। নিহতদের স্বজন ও গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণের দাবীতে অনড় ছিলেন। আধিকারিকদের অনেক বোঝানোর পরও গ্রামবাসী তা মানতে রাজি হয়নি। পরে পুলিশ গ্রামবাসীদের অনেক বুঝিয়ে দেয়। অনেক ঘণ্টার পরিশ্রমের পর গ্রামবাসী রাজি হয়। এরপর ডিআরএমসহ অন্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার পর রাত 12টার দিকে রেললাইনের ওপর ধর্নায় বসেন পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসী। যা ভোর 4টায় পরিষ্কার হয়েছে। এতে চার ঘণ্টা রেল চলাচল ব্যাহত হয়। একই সঙ্গে স্থানীয় লোকজন জানায়, ওই এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ চলছিল, নির্মাণের সময় রেলের পণ্যবাহী ট্রেনটি ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে উপরের মাটি তলিয়ে যায় এবং সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা এতে পড়ে যায়। আন্ডারপাস নির্মাণের সময় শ্রমিকরা 10 ফুট নিচে কাজ করছিলেন।
No comments:
Post a Comment