আজ,রবিবার সারাদেশে পালিত হচ্ছে বকরি ঈদ উৎসব। এই উৎসব ত্যাগের দিন নামেও পরিচিত। এই দিনে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা মসজিদে নামাজ পরে। আজ সারাদেশের অনেক মসজিদে মানুষ নামাজ পড়েছেন। নামাজের পর লোকজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বকরি ঈদের শুভেচ্ছা জানায়। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। এ উপলক্ষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, 'ঈদ মোবারক! ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। এই উৎসব যেন আমাদের মানবজাতির উন্নতির জন্য সম্মিলিত কল্যাণ ও সমৃদ্ধির চেতনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
তারা ছাড়াও ঈদ-উল-আযহার প্রাক্কালে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ দেশবাসীকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, 'ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আমি সকল দেশবাসীকে, বিশেষ করে আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের শুভেচ্ছা জানাই। ঈদুল আজহা মানবতার ত্যাগ ও সেবার প্রতীক। এই উৎসব আমাদেরকে হজরত ইব্রাহিমের দেখানও আত্মত্যাগের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। আসুন আমরা এই উপলক্ষটি মানবজাতির সেবায় নিজেদেরকে পুনরায় উৎসর্গ করি এবং জাতির সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য কাজ করি।'
মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসব ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ বিস্তৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে এবং খোলা জায়গায় কোরবানি না করার এবং নিষিদ্ধ পশু কোরবানি না করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আইন-শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমারের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঈদ-উল-আযহা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে থানা পর্যায়ে শান্তি কমিটির 3010টি সভা, রাজ্যের সমস্ত জেলায় 3407টি ইমাম ও ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠক হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রকাশ্যে কোরবানি না করার এবং নিষিদ্ধ পশু কোরবানি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment