কথিত আছে যেখানে প্রেম আছে সেখানে ঝগড়াও থাকবে। তবে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে লড়াইটা যেন এত দীর্ঘ না হয়, যাতে ভালোবাসার সুতোটা ছিঁড়ে যায়। কেননা প্রেমের সম্পর্কের ডোর একবার ছিঁড়ে গেলে লক্ষ গাঁট বেঁধেও আগের মতো শক্ত করা যায় না। তাই সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে পার্টনারদের একটু বিরক্তিতে একে অপরকে বোঝানোর চেষ্টা করা উচিৎ এবং বিষয়টির অবসান ঘটানো উচিৎ ।
সিএনএন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির (এফসিইউ) একটি গবেষণায় জানা গেছে যে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিবাদের সময় সহজ এবং সরল কথাগুলি বলা গুরুত্বপূর্ণ। এফসিইউ-এর মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক জিম ম্যাকনাল্টি তার গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন যে, 'দুই প্রেমিক যদি তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া কিছু নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ না করে, তাহলে তাদের মধ্যে যোগাযোগ কমতে শুরু করে।'
প্রায় ২০০ দম্পতির উপর পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, বিবাহিত দম্পতি যদি একে অপরের সাথে ঝগড়া করে তবে তাদের আয়ু হ্রাস পেতে পারে। ফিলাডেলফিয়ার কাপল্স থেরাপিস্ট ক্যাটলিন ক্যান্টর বলেন, 'যদি দম্পতিরা একে অপরকে আরও ভালোভাবে বোঝেন, তাহলে তা সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।'
অনুভূতির বিশ্লেষণ প্রয়োজন -
যেকোনও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষা করা খুবই জরুরি। অনেক সময় দেখা গেছে মানুষ ঝগড়া করে সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং যা বলার থাকে না, তাও বলে ফেলে। ম্যাকনাল্টি বলেছেন বিতর্কের জন্য এমন একটি সময় বেছে নিন, যা কোনও বিভ্রান্তি বা উত্তেজনা মুক্ত। এটির মাধ্যমে, আপনার সঙ্গী সম্পর্কের প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি দেখতে পাবে।
আপনাকে আপনার সম্পর্কের অনুভূতিগুলি বিশ্লেষণ করতে হবে, কারণ বিরোধের জন্য সঠিক সময় বেছে নেওয়ার মাধ্যমে অনুভূতিগুলি সঠিকভাবে বোঝা যায়। বেশ কয়েকবার বিশ্লেষণের পর বোঝা যায় বিষয়টি খুবই ছোট ছিল।
যদি আপনি একটি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চান -
যে কোনও বিবাদের সমাধানের জন্য যে পরিকল্পনা করা হয় তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল একজন ভালো শ্রোতা হওয়া। কাপল্স থেরাপিস্ট ক্যাটলিন কান্টরের মতে, একজন ভালো শ্রোতা তাদের সঙ্গীর অনুভূতির পাশাপাশি আবেগও বুঝতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, অকথ্য ভাষায় কিছু বলার চাইতে ইশারায় বলা ভালো। এতে আপনার মনোভাব শান্ত রেখে, আপনি আপনার সঙ্গীর দৃষ্টিভঙ্গি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment