মহারাষ্ট্রের পর এবারে গোয়ায় রাজনৈতিক আলোড়ন। এখানে কংগ্রেস দল প্রায় পতনের দ্বারপ্রান্তে। বলা হচ্ছে, দলের ৯ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। বর্তমানে ক্ষুব্ধ বিধায়কদের রাজি করানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডু রাও দলত্যাগ আটকানোর চেষ্টা করছেন। তবে বিধায়কদের ফেরা এখন কঠিন বলেই বলা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গোয়ায় কংগ্রেসের মাত্র ১১ জন বিধায়ক রয়েছে, যার মধ্যে ৯ জন বিধায়ক এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য সামনে এসেছেন। যদি এটি ঘটে তবে দল ভেঙে যাবে এবং পক্ষ পরিবর্তন করা বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কারণ তাদের সংখ্যা মোট বিধায়কের চেয়ে অনেক বেশি।
বলা হচ্ছে, বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামতও রয়েছেন, যিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। এর আগে ২০১৯ সালেও কংগ্রেসকে ধাক্কা দিয়ে অনেক বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর আবার সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির প্রস্তুতি চলছে। দিগম্বর কামাত, মাইকেল লোবো, ইউরি আলেমাও সংকল্প আমনকার, ডেলাইলা লোবো, অ্যালেক্স সিকারেরো, কেদার নায়ক এবং রাজেশ ফালদেসাই এইসকল বিধায়করা কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা প্রসঙ্গে, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং বিধায়ক দিগম্বর কামাত বলেছেন যে, এই ধরনের জিনিসগুলি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। বর্তমানে আমি আমার ঘরেই আছি। কংগ্রেস ইনচার্জ দীনেশ গুন্ডুরাও গোয়ায় রয়েছেন এবং বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
এর আগে, ইনচার্জ দীনেশ গুন্ডু রাও সোমবার থেকে শুরু হওয়া গোয়া বিধানসভা অধিবেশনের জন্য একটি কৌশল তৈরি করতে শনিবার বিধানসভা দলের একটি বৈঠক ডেকেছিলেন, যেখানে দলের ১১ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেস তাদের প্রার্থীদের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে নিয়ে যায় এবং দলের প্রতি আনুগত্যের শপথ পাঠ করায়। সেই ফর্মুলা আদৌ কাজে আসে কিনা, তার উত্তর কেবল সময়ের অপেক্ষা।
No comments:
Post a Comment