মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে অবৈধভাবে প্রবেশকারী হাফিজুল মোল্লার সঙ্গে বাংলাদেশী কানেকশনের খবর সামনে এসেছে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে নিরাপত্তার বলয় এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে হাফিজুল এবং সারা রাত সেখানেই লুকিয়ে ছিল সে। পরদিন সকালে নিরাপত্তাকর্মীরা অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তের বাংলাদেশ সংযোগের কথা জানা যায় এবং সে দুর্গা পূজার সময় বাংলাদেশেও ভ্রমণ করেছিল। তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনের ১১ টি ভিন্ন ভিন্ন সিমও পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে যাওয়ার আগে সে বেশ কয়েকবার ঐ জায়গায় আসা যাওয়া করে। সূত্রের দাবী, হাফিজুল স্থানীয় শিশুদের লজেন্স এবং কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল।
পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, যুবক যে কোনও আন্তরিক উদ্দেশ্য নিয়ে কালীঘাটে যায়নি, তা স্পষ্ট। এবার অনেক সন্দেহজনক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি সিম উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সে কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বাংলাদেশে গিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, যেদিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিল হাফিজুল, তার ১০ দিন আগে সে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কমপ্লেক্সে গিয়ে চারিদিকে ঘুরে দেখেছে। পুলিশ সূত্র আরও জানায়, শিশুদের কোল্ড ড্রিংকস পান করিয়ে এলাকার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে হাফিজুল। এমনকি মোবাইল ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ছবিও তুলেছিল সে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাফিজুলকে গ্রেফতারের পর প্রথমে তার কাছ থেকে কোনও মোবাইল ফোন পাওয়া না গেলেও পরে জানা যায় ঘটনার রাতে তার কাছে একটি মোবাইল ফোন ছিল। সিসিটিভিতে দেখা গেছে, বলে সূত্রের খবর। হাফিজুল ফোনে একাধিকবার কথা বলেছে। ইতিমধ্যে তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এতে অনেক বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গেছে।
উদ্ধার হওয়া মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বিভিন্ন আঙ্গিকের ছবি তোলা হয়েছে। এক বা একাধিক নম্বরে এটি পাঠানো হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সোমবার হাফিজুল মোল্লাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment