দেশের অনেক রাজ্যে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় মানুষের অবস্থা খারাপ। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশ এবং কর্ণাটকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর (IMD)। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রে, যেখানে এখনও পর্যন্ত 83 জন মারা গেছে, যেখানে 6টি জেলায় আবহাওয়ার লাল সতর্কতা রয়েছে। শহর-নগর বিপর্যয় নেমে আসছে। নদ-নদীতে থমথমে অবস্থা। আগামী 72 ঘণ্টা মানুষের জন্য ভারী। তাই গুজরাটে এখনও পর্যন্ত 63 জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে, 1 জুন থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে 83 জন মারা গেছে এবং 64 জন আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে রয়েছে বন্যা, ভূমিধস, ভবন ধস, বাড়ি ধসে, সমুদ্রে ডুবে যাওয়া, পানিতে ডুবে যাওয়া, বজ্রপাত ও শর্ট সার্কিটের ঘটনা। এই ভারী বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত 164টি পশু মারা গেছে। এছাড়াও, এখনও পর্যন্ত 5873 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে অর্থাৎ তাদের নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে।
ভালসাদ সহ 5টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে এবং 8টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও প্রকৃতির উগ্র রূপ দেখা গেছে। তানসা নদীর উত্থিত ঢেউ আতঙ্কিত করছে সবাইকে। ভারী বৃষ্টির জেরে পালঘরে প্রবাহিত তমসা নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। যার জেরে আশপাশের এলাকায় বিপদ বেড়েছে।
পালঘরের জওহর তালুকার পাহাড়ের মাঝখান থেকে দ্রুত জল নামছে। প্রবাহিত নদীর পাশাপাশি জলপ্রপাতগুলোও ভয় দেখাতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রের গাদচিরোলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন গঙ্গা নদীতে ভাটা পড়ায় অনেক গ্রাম জলে তলিয়ে গেছে। রাজপথে উপচে পড়া ভিড়। রাস্তার পাশের ভবনগুলো জলে তলিয়ে গেছে। জল এতটাই জমেছে যে মানুষের যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে।
গুজরাটের 5টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সুরাট, তাপি, নভসারি, ডাং, ভালসাদ ছাড়াও গুজরাটের 8টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গির সোমনাথ, আমরেলি, ভাবনগর, আনন্দ, ভাদোদরা, ভরুচ, নর্মদা এবং ছোট উদয়পুরে ভারী বৃষ্টি আগামী 4 দিন মানুষের অসুবিধা বাড়াতে পারে।
No comments:
Post a Comment