বিশ্ব এখনও করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাথে লড়াই করছে, অনেক দেশে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি এই ভাইরাসের নতুন নতুন রূপও আবির্ভূত হচ্ছে। করোনা থেকে এখনও মুক্তি পায়নি বিশ্ববাসী, এরই মধ্যে একটি নতুন ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটেছে, যাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এই ভাইরাসের নাম মারবার্গ। মারবার্গ ভাইরাস সবচেয়ে বিপজ্জনক ভাইরাস হিসাবে বিবেচিত হয়।
এই ভাইরাস আগেও হানা দিয়েছিল। ১৯৬৭ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মারবার্গে আক্রান্ত দেখা গেছে। এই ভাইরাস সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে, কেউ যদি এর কবলে পড়ে, তবে তার মৃত্যু নিশ্চিত। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় মারবার্গের দুজন সন্দেহভাজন রোগীর খবর পাওয়া গেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)ও এই নতুন ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক হয়ে গেছে।
মারবার্গ সংক্রমণ, ইবোলা ভাইরাসের চেয়েও অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষকে নিজের শিকারে পরিণত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১৯৬৭ সাল থেকে দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকায় মারবার্গ সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব বেশ কয়েকবার দেখা গেছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত। আর এ থেকেই অনুমান করা যায় এটি কতটা দ্রুত ছড়ায়।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর প্রাক্তন মহাপরিচালক এন কে গাঙ্গুলী বলেন, “এই ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে হতে পারে এবং এটি ত্বকে ত্বকের স্পর্শের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। মারবার্গ ভাইরাস ইবোলা ভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত।'
তিনি আরও বলেন, “এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো ফ্লুর মতোই। এটি সনাক্তকরণের জন্য নমুনা নেওয়া হয় এবং সিকোয়েন্সিং করা হয়, যা থেকে টিস্যু কালচার করে ভাইরাস সনাক্ত করা হয়। মারবার্গ ভাইরাসের মতো ভাইরাস আসতেই থাকে, কিন্তু করোনার পর মানুষ এ ধরনের রোগ সম্পর্কে সতর্ক হয়ে গেছে। ট্রেসিংও বেড়েছে। এই ধরনের ভাইরাসের জন্য নজরদারি প্রয়োজন।"
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ডাঃ এম ওয়ালী বলেন, “আগেও মারবার্গ ভাইরাসের ঘটনা সামনে, কিন্তু ইবোলার মতো ছড়িয়ে পড়ায় এই ভাইরাস করোনার যুগে আবার সক্রিয় হওয়া ভালো নয়। এর জন্য কোনও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। তবে এটি স্বস্তির বিষয় যে, আফ্রিকার বাইরের দেশগুলিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর কখনও আসেনি। তবে, মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।”
No comments:
Post a Comment