কিশোর বয়সের সেই পর্যায়, যেখানে মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিকভাবে অনেক পরিবর্তন ঘটে। একদিকে এই বয়সে শিশু সাফল্যের নতুন পথ পায়, অন্যদিকে এই বয়স অবনতির জন্যও দায়ী। এই নাজুক বয়সে, সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য একজন বন্ধু প্রয়োজন। হ্যাঁ, এমন বন্ধু যার সাথে শিশু সবকিছু এবং আবেগ শেয়ার করতে পারে। শিশুটি বেশিরভাগ সময় তার পিতামাতার সাথে থাকে। সেজন্য বাবা-মা এবং কিশোরীর মধ্যে এমন সম্পর্ক থাকা দরকার যাতে তার অন্য কোনো বন্ধুর প্রয়োজন না হয়। এই বয়সে, বন্ধুরা সম্ভবত বাবা-মায়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটাও বলা হয় যে একটি শিশু যখন বড় হতে শুরু করে, তখন তার সাথে বন্ধুত্ব করা উচিত।
বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের বন্ধুদের বেশি প্রয়োজন। এই বয়সে অনেক ধরনের শারীরিক পরিবর্তন ঘটে যা শিশু সহজে সামলাতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে শিশু শরীরের পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত থাকে এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতেও পছন্দ করে না। এমতাবস্থায় শুধুমাত্র বন্ধুরাই তাদের সাপোর্ট হতে পারে এবং তাদের ভালো পরামর্শ দিতে পারে।
গোপনীয়তা শেয়ার করুন
শিশুর এই বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নাজুক। বাচ্চাদের স্কুল, কলেজ এবং বন্ধুদের সাথে সম্পর্কিত অনেক গোপনীয়তা রয়েছে যা তারা কেবল বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করে। এছাড়াও অনেক গোপনীয়তা রয়েছে যা শিশুকে ক্ষতির ঝুঁকিতে রাখে। এমতাবস্থায়, বাবা-মায়ের বাচ্চাদের গোপনীয়তার গুরুত্ব বোঝা এবং বন্ধু হিসাবে সেগুলি সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।
ছোট আনন্দে আনন্দ করুন
বয়ঃসন্ধিকালে বেশিরভাগ শিশুর মধ্যে মুড সুইং সমস্যা দেখা যায়। মেজাজ পরিবর্তনের সময়, শিশু তার কার্যকলাপ এবং আবেগ মুহূর্তের মধ্যে পরিবর্তন করে। তিনি যখন খুশি হন, তখন তিনি একজন বন্ধুর প্রয়োজন অনুভব করেন, তাই পরিবারের সকল সদস্যের উচিত তাকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ দেওয়া। তার ছোট সুখে খুশি হওয়া উচিত। অন্যদিকে, যখন শিশুর মন খারাপ হয় বা দুঃখ হয়, তখন তার সাথে কথা বলুন এবং তাকে খুশি করার চেষ্টা করুন। বন্ধুরা সবসময় শিশুর আশেপাশে থাকে না, তাই আপনি তার বন্ধু হন এবং তাকে সমর্থন করেন।
No comments:
Post a Comment