উত্তরাখণ্ডের তিনটি জেলা পিথোরাগড়, চামোলি এবং উত্তরকাশী জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গঠিত হয়েছে। এই তিন জেলার সীমানা চীনের সাথে, তবে একটি সত্য যে আজও সীমান্তের গ্রামগুলিতে প্রয়োজনীয় সুবিধার অভাব রয়েছে।
এখন চীন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোকে উন্নয়নের ধারায় যুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ শুরু হতে যাচ্ছে। কেন্দ্রের ভাইব্রেন্ট ভিলেজ স্কিমের অধীনে, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সীমান্তের গ্রামগুলিতে কয়েক দশক ধরে প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সংগ্রহ করা হবে। উত্তরাখণ্ডের তিনটি জেলা, পিথোরাগড়, চামোলি এবং উত্তরকাশী চীন সীমান্ত দ্বারা সংযুক্ত।
এ তিন জেলার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোতে আজও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার চরম অভাব রয়েছে। এ কারণেই নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবিরাম অভিবাসন চলছে। খালি হওয়া সীমান্ত গ্রামগুলি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে, যার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার সেনাবাহিনীর সাথে এই অঞ্চলগুলিতে ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রকল্প শুরু করছে। পিথোরাগড়ের ডিএম আশিস চৌহান জানিয়েছেন, ব্যাস উপত্যকার ১৪টি গ্রাম এই প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এসব গ্রামে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
মাইগ্রেশন বন্ধ করার দিকে নজর দেওয়া হবে
ভাইব্রেন্ট ভিলেজ পরিকল্পনা বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান থেকে আলাদা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে রাস্তা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, জলের মতো প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। অভিবাসন ঠেকাতে পর্যটন ভিত্তিক পরিকল্পনাও পরিচালিত হবে। এর পাশাপাশি উদ্যান ও কৃষির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও অনুসন্ধান করা হবে।
চীনের ষড়যন্ত্রে ধাক্কা লাগবে
এই প্রকল্পে যুবকদেরও বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ধারচুলার শেষ ব্লকের ব্লকপ্রধান ধনসিং ধামি মনে করেন, সীমান্ত এলাকাগুলি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে। অভিবাসন বন্ধ হলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার হবে। ভাইব্রেন্ট ভিলেজ পরিকল্পনাকে চীনের সেই পরিকল্পনার একটি কাট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটান সংলগ্ন এলাকায় মডেল গ্রাম তৈরি করছে চীন। যদি এই পরিকল্পনা কাগজে-কলমে আসে, তবে উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির পুনর্জীবনের আশা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment