রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু আজ (১১ জুলাই) কলকাতায় আসছেন। দ্রৌপদী মুর্মু ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাংসদ এবং বিধায়কদের সাথে দেখা করবেন। উল্লেখ্য, দ্রৌপদী মুর্মু সাংসদদের সমর্থন পেতে বিভিন্ন রাজ্যে সফর করছেন এবং এই ধারাবাহিকতায় তিনি সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় পৌঁছাবেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবেন নাকি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করবেন, এই নিয়ে এখন ধর্ম সংকটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন না করলে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং দলটি আশঙ্কা করছে যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে উপজাতীয় ভোটাররা দল থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যায় উপজাতীয়দের অংশ প্রায় ৭-৮ শতাংশ এবং অনেকগুলি আসনে নির্ধারক ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে মমতার সমর্থেই বিরোধী জোটের প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিনহা।
সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, বিজেপি যদি দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করার আগে বিরোধী দলগুলির সাথে আলোচনা করত, তাহলে তিনি সর্বসম্মত প্রার্থী হতে পারতেন।
এরই মধ্যে শুক্রবার, তৃণমূলের বরিষ্ঠ নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। সৌগত রায় বলেন যে, তিনি এবং তার দলের অন্যান্য সাংসদরা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন, যাতে এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে সমর্থন চাওয়া হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তাঁর দলের সাংসদ ও বিধায়করা যৌথ অ-বিজেপি প্রার্থী যশবন্ত সিনহার পক্ষে ভোট দেবেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপির ১৭ জন লোকসভা সাংসদ রয়েছেন এবং এর মধ্যে অর্জুন সিং তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গেছেন, তবে তিনি এখনও এমপি পদ থেকে ইস্তফা দেননি। পাশাপাশি বিজেপির বিধানসভায় ৭৫ জন বিধায়ক রয়েছে এবং এর মধ্যে ৫ জন টিএমসিতে যোগ দিয়েছেন, তবে তারাও এখনও বিধায়ক হিসাবে পদত্যাগ করেননি।
No comments:
Post a Comment