'সম্পর্কে তিক্ততা এলেই পুরুষকে অপকর্মে অভিযুক্ত করা যায় না': হাইকোর্ট - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 8 July 2022

'সম্পর্কে তিক্ততা এলেই পুরুষকে অপকর্মে অভিযুক্ত করা যায় না': হাইকোর্ট


কোনও যুগলের মধ্যে যদি সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যায়, তাহলে পুরুষকে ধর্ষণের অভিযুক্ত করা যায় না। জামিনের আবেদনের শুনানির সময় কেরালা হাইকোর্ট এ কথা বলেছে। আদালত বলে যে সম্পর্কটি কার্যকর না হলে পুরুষটিকে ধর্ষণের জন্য দোষী হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না। শুক্রবার এ বিষয়ে আদালতের রায় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


নবনীত এন নাথের মামলার শুনানি চলছিল হাইকোর্টে। সহকর্মীর করা যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ ছিল যে নাথ প্রায় ৪ বছর ধরে মহিলার সাথে সম্পর্কে ছিলেন, তবে পরে অন্য কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। মহিলাটি বিষয়টি জানতে পেরে হোটেলে নাথের বাগদত্তার সাথে দেখা করেন।


সেখানে শীরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। মামলায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী তার মনের কথা বলেছেন, যার কারণে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাথের পক্ষে উপস্থিত হয়ে অ্যাডভোকেট রমেশ চন্দর দাখিল করেছেন যে, আবেদনকারী মহিলাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এবং তাদের বহু বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক ছিল, যা সম্পূর্ণ সম্মতিক্রমে ছিল।


বিচারপতি বেচু কুরিয়ান থমাস মৌখিকভাবে বলেন যে, গত কয়েক দশকে সম্পর্কের ধরণ এবং উভয়ের মধ্যে প্রত্যাশা অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। আর যদি নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক না হয়ে থাকে, তাহলে এই কারণে ধর্ষণের অভিযোগও তোলা যাবে না। বিচারক বলেন, সম্পর্কের পরিবর্তনের কারণে এই যুগল আলাদা হয়ে যায় এবং অন্যদের বিয়ে করে। কাজেই বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও ব্যক্তিকে যৌন সঙ্গমে বাধ্য করা হয়েছে এমন নয়।


তবে আদালত এও বলেছে, এ ক্ষেত্রে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক মিলনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না তাও দেখতে হবে।


নাথের আইনজীবী আদালতকে বলেন, তার বাবা-মা তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করার পরেও তিনি সেই মহিলার সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি এখন তার বাগদত্তা। চন্দর আদালতকে আরও বলেন, প্রথম থেকেই সচেতন ছিলেন যে ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় তাদের অসুবিধার মুখোমুখি হতে হবে হয়তো। বিষয়টি জেনেও ওই নারী সম্পর্ক চালিয়ে যান।


এদিকে ওই নারীর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী বলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতির কারণে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, যা এখন মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। একই সময়ে, পাবলিক প্রসিকিউটরও নাথের জামিনের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, যাই হোক না কেন, সম্মতি পাওয়া গেছে তা সত্যের ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে এবং ধর্ষণ মামলায় একটি অপরাধ।



No comments:

Post a Comment

Post Top Ad