একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। কখনও কখনও এসব সুন্দর চিন্তার সাথে গড়ে তোলা সম্পর্কও পরে ভেঙ্গে যায়। একজন সঙ্গী যে কেবল অন্যকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে আঘাত করে তা নয়, তার কার্যকলাপ অন্যের জীবনের দৈনন্দিন কাজকর্মকেও প্রভাবিত করে।
যদি একজন সঙ্গী অন্যের উপস্থিতি সত্ত্বেও নিজেকে অসুখী এবং একাকী মনে করে, তাহলে সেই সম্পর্ককে অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বলা হয়। প্রায়শই দেখা যায় কোনও না কোনও কারণে, পার্টনাররা তাদের বাকি জীবনের জন্য একটি বিষাক্ত সম্পর্ক চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। একজন সঙ্গীর পক্ষে অস্বাস্থ্যকর বা বিষাক্ত সম্পর্ক ত্যাগ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
যাকে একবার ভালোবেসেছেন তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া কখনই সহজ নয়। যখন অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক ছেড়ে দেওয়ার কথা আসে, তখন এটি আরও কঠিন বলে মনে হতে পারে। এর কারণ হল ব্রেকআপের পরে একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র গভীরভাবে দুঃখ বোধ করে না, এটি তার আত্মসম্মান, সংযুক্তি এবং সংযোগগুলিকেও প্রভাবিত করে।
আপনার ক্ষেত্রেও যদি এমন হয়, তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে কঠিন কাজ সহজ হয়ে যেতে পারে।
নিজেকে অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী করুন -
সম্পর্কের সময় বলা কথা, পরিস্থিতি, অনুভূতি- এই সমস্ত জিনিস ক্রমাগত ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করে। একটি সম্পর্ক ছাড়ার সময়, অনেক কারণ এবং স্তর সামনে আসে। এই মুহূর্তটি খুব কঠিন এবং বেদনাদায়ক প্রমাণিত হতে পারে।
আপনি যখন অভ্যন্তরীণ স্তরে কাজ শুরু করবেন এবং আপনার সাথে কী ভুল তা বিবেচনা করার জন্য নিজেকে ক্ষমতায়িত করবেন, তখন সম্পর্ক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। বলা যত সহজ, করা তত কঠিন। এটি আপনার মনকে বোঝানোর জন্য যথেষ্ট যে, আপনি চিরকাল এই সম্পর্কে আটকে থাকতে পারবেন না।
নিজেকে ভালোবাসার অভ্যাস গড়ে তুলুন -
লুপ ভাঙ্গার জন্য, আপনাকে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হবে। আপনাকে বিষাক্ত সম্পর্কের মধ্যে আটকে রাখা কথা এবং জিনিসগুলি সম্পর্কে আপনার নিজের চিন্তাভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। নিজেকে ভালোবাসার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আপনার নিজের আনন্দের জন্য জিমে যাওয়া বা একটি শখের জন্য সময় বের করা, যা আপনাকে আনন্দে পূর্ণ করবে। এতে ধীরে ধীরে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং আপনি আপনার প্রাপ্য সুস্থ সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
প্রিয়জনের সাথে কথা বলুন -
এ ক্ষেত্রে যেকোনও থেরাপির সাহায্যও নিতে পারেন। এটি আপনাকে অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক চিনতে এবং কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় তা শিখতে সাহায্য করতে পারে। আপনার প্রিয়জনের সাথে কথা বলাও একটি উপায় হতে পারে। কিন্তু নিজেকেই আত্মমর্যাদাবোধ গড়ে তুলতে হবে।
No comments:
Post a Comment