একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত দেখা মিলল না পঞ্চায়েত সমিতির, সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ অনেক নেতৃত্বর। ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে বাগদায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল।
বাগদা বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১ শে জুলাইয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল শুক্রবার। এদিন হেলেঞ্চা নেতাজী শতবার্ষিকী কমিউনিটি হলে বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ কুমার সাহা বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদারের ডাকে এই সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ ও অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু এই সভাতে দেখা গেল না বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়, সহ-সভাপতি তরুণ ঘোষ হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিখিল ঘোষ, প্রতিমা রায় সহ অনেক নেতৃত্বকে। ঘটনা ঘিরে ফের বাগদাতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল আবার প্রকাশ্যে।
এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, 'বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ-সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের হোয়াটসঅ্যাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের শরীর খারাপের কারণে হয়তো বা আসেনি। কে আসলো না আসলো সেটা বিষয় নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২১শে জুলাই আমাদের যেতে হবে।'
আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ ঘোষ জানান, 'আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দলের কেউ কেউ ব্যাক্তিগত হিংসার কারণে আমন্ত্রণ জানায়নি।' হোয়াটসঅ্যাপে আমন্ত্রণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি হোয়াটসঅ্যাপে দেখিনি।'
গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিখিল ঘোষ জানান, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করি আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমার হোয়াটসঅ্যাপ নেই।'
এই বিষয়টি কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতৃত্ব। জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, 'গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতিদের দেখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের সভায়।
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনা বাগদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। সাম্প্রতিক বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরে গোষ্ঠী কোন্দল আরও প্রকট হয়েছে। উল্লেখ্য বিশ্বজিৎ দাসের অনুগামী বলে পরিচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় সহ সভাপতি তরুণ ঘোষ হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিখিল ঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রতিমা রায়রা।
No comments:
Post a Comment