বার্ধক্যের প্রভাব শরীর ও চুলের পাশাপাশি আমাদের ত্বকেও দেখা যায়।এরজন্য কিছু অভ্যাস গ্রহণ করতে হবে এবং কিছু সেখানে ছেড়ে দিতে হবে। যা আমরা আজ এখানে জানবো।
সপ্তাহে ৪ দিন ব্যায়াম করুন:
ব্যায়াম বা যোগাসন করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন খুব ভালো হয় এবং শরীরের ময়লা ঘামের আকারে বেরিয়ে আসে। তাই প্রতিদিন ব্যায়াম করা জরুরি। আপনি যদি ব্যায়ামের জন্য সময় বের করতে না পারেন, তবে শুধুমাত্র দৌড়ানো, জগিং বা হাঁটার মতো কার্যকলাপগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন।
ত্বকের পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
দিনে দুই থেকে তিনবার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার স্ক্রাবিং এবং স্টিমিং করুন। রাতে ঘুমানোর আগেও ক্লিনজিং, টোনিং দিয়ে মুখ ময়েশ্চারাইজ করুন।
প্রাকৃতিক পণ্য এবং ঘরোয়া প্রতিকার কার্যকর:
যে সকল বিউটি প্রোডাক্টগুলো আপনাকে মিনিটের মধ্যে তারুণ্যের চেহারা দেওয়ার গ্যারান্টি দেয়, তাতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা আপনাকে সেই সময়ে তরুণ দেখাতে পারে, কিন্তু এগুলোর ক্রমাগত ব্যবহার ত্বকের জন্য ঠিক নয়। তাই সৌন্দর্যের পাশাপাশি দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ দেখতে প্রাকৃতিক জিনিস যেমন অ্যালোভেরা, হলুদ, দুধ, দই, বেসন যথাসম্ভব ব্যবহার করুন।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন:
যদি মুখে অকাল বার্ধক্য দেখা যায়, তাহলে এর সবচেয়ে বড় কারণ হল ফ্রি র্যাডিকেল ড্যামেজ। এছাড়া সূর্যের আলো, ধুলাবালি এবং দূষণের কারণে ত্বক তার উজ্জ্বলতা হারায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ ডায়েট ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি রোধ করার পাশাপাশি ত্বকের মেরামতের গতি বাড়ায়। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই গ্রিন টি, ড্রাই ফ্রুটস, দুধ, সামুদ্রিক খাবার, গাজর, পালং শাক খেতে হবে।
ধূমপান এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলুন:
ধূমপানের অভ্যাস আপনার বয়স বাড়াতে কাজ করে। এ কারণে সময়ের আগেই মুখে বলিরেখা ও ফ্রেকলের সমস্যা শুরু হতে পারে। সেই সঙ্গে অ্যালকোহল সেবনের কারণে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয় এবং শরীরে জলের অভাবের প্রভাব প্রথমে মুখেই দেখা যায়। তার তেজ কমতে থাকে এবং মুখে বার্ধক্য দেখা দিতে থাকে।
No comments:
Post a Comment