রাজ্যে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীকে দেখে 'চোরের দল' বলে আওয়াজ তুলছেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। আর এই স্লোগানকে কেন্দ্র করেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সাঁকরাইল এলাকার সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পোল এলাকাতে। অভিযোগ আগামী ২৪ তারিখ সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছিল স্থানীয় বামপন্থী নেতৃত্বরা। সেই অনুযায়ী আজ, রবিবার সারেঙ্গা পোল এলাকাতে পথ সভা করছিল বামপন্থী কর্মীরা। সেই পথসভা থেকে এলাকার বিধায়িকা প্রিয়া পালকে কটাক্ষ করে চোর বলে সম্বোধন করা হয়।
এলাকায় উপস্থিত বিদ্যায়িকা তাকে কেন চোর বলছে সিপিএম তাই জানতে চান। এরপরই কোথ কাটাকাটি শুরু হয়। অচিরেই তা ধাক্কা ধাক্কিতে পৌঁছায়। অভিযোগ উপস্থিত তৃণমূলের কর্মীরা তাদের উপরে চড়াও হয় সাঁকরাইল বিধানসভার বিধায়িকার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতা কর্মী সহ এলাকার দুষ্কৃতীরা। তাঁদের মাইক বক্স ভেঙে দেওয়া থেকে শুরু করে। পথসভার চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি কর্মীদেরকেও মারধর করা হয়।
টেবিল চেয়ার, মাইক বক্স ভেঙে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে দাবী করেন স্থানীয় বাসিন্দা আসিফ। তিনি জানান বিধায়িকার পূর্ণ মদতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যদিও শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যা মনিরা সর্দার পাল্টা অভিযোগ করেন সিপিএমের লোকেরাই মারধর করেছে তাঁদের। তারা এটিএমে টাকা তুলতে এসেছিলেন। তাঁদের কাছে দশ হাজার টাকা, তার কানের দুল ও গলার চেন ছিনিয়ে নেই তারা। উল্টে তাঁদেরকে মারধর করে তারা। তার স্বামীর আঙ্গুল মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে। সিপিএমের লোকেরা রং কিনে এনে নিজেরা মেখে তাঁদেরকে মারধর করার মিথ্যে অভিযোগ এনেছে। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নন্দলাল মুখ্যোপাধ্যায় শাসক দলের অভিযোগ উড়িয়ে দাবী করেন তারা সারেঙ্গা পঞ্চায়েতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ঘেরাও করার ডাক দিয়েছেন আগামী ২৪ তারিখ। আর আজকে তাই নিয়েই পথসভা করছিলেন।
মূলত ডেল্টা জুটমিল দীর্ঘ নয় মাস বন্ধ সেটা চালু করার দাবীও রয়েছে এতে। পথসভা চালু করার পরেই বিধায়িকার ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মান্নান ও তার দুষ্কৃতীদের নেতৃত্বে সিপিএমের কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে অনেক কর্মী আক্রান্ত হন। তাঁদের নাক মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। যদিও বিধায়িকার দাবী তিনি পরিস্থিতি সামাল দিতে সাঁকরাইল থানাতে খবর দেন। সিপিএমের লোকেরা মুরগির মাংসের দোকান থেকে রক্ত ও আলতা মেখে নাটক করছে। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে আরও বড়ো ঘটনা ঘটতে পারতো। তার হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই দাবী করেন সাঁকরাইল বিধানসভার বিধায়িকা প্রিয়া পাল।
No comments:
Post a Comment