গালের ফ্যাট থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়গুলো চটপট জেনে নিন। আপনাকে সাহায্য করতে হাজির আমরা।
খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন :
শরীরের যে কোনও অঙ্গে ফ্যাট জমছে মানেই আপনার খাওয়া-দাওয়ার গন্ডগোল হচ্ছে। তাই সেটা কমাতে গেলে আপনাকে ক্যালোরির পরিমাণে ঘাটতি সৃষ্টি করতে হবে। তার জন্য ডায়েট প্ল্যান নতুন করে তৈরি করুন। মনে রাখবেন, আন্দাজ ৩৫০০ ক্যালোরি খরচ হওয়ার পর তবে আপনার ৪৫০ গ্রাম মতো ওজন কমে। তাই খাদ্যতালিকা থেকে ছেঁটে ফেলুন বাড়তি ফ্যাট, রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট, মিষ্টি একেবারে ছেঁটে ফেলতে হবে। চলবে না মদ্যপানও। এমন খাবার খান যা সুষম ও পুষ্টিকর, সেই সঙ্গে প্রচুর রাফেজেরও জোগান দেয়। তাতেই গলা, চোয়াল আর গালের ফ্যাট কমতে আরম্ভ করবে ধীরে ধীরে।
প্রচুর জল পান:
আপনি হয়তো ভাবছেন, সব সমস্যার উত্তরেই কেন বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়? এটা কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন জলের অপর নাম জীবন? জল ছাড়া আমাদের মোটেই চলবে না। যত বেশি জল খাবেন, তত বেশি বেশি টক্সিন শরীরের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা তৈরি হবে। উলটো দিকে আবার কম জল খাওয়ার অর্থ হচ্ছে কনস্টিপেশন ও সেই সংক্রান্ত নানা সমস্যা। শরীরকে প্রয়োজনমাফিক জলের জোগান দিতে পারলে বাড়বে মেটাবলিজ়ম। তাতে ক্যালোরি পোড়ার হারও বাড়বে।
কার্ডিও এক্সারসাইজ়ের পরিমাণ বাড়ান:
বেশি বেশি করে কার্ডিও এক্সারসাইজ় করুন। সাঁতার, এরোবিক্স, রানিং, জগিং খুব ভালো এরোবিক্স। এতে হার্ট রেট বাড়বে। পুড়বে বেশি ক্যালোরি। সেই সঙ্গে কিছু ফেসিয়াল এক্সারসাইজ়ও আরম্ভ করুন। এ বিষয়ে ইন্টারনেটে অজস্র তথ্য ও ভিডিও মিলবে, একটা ধৈর্য ধরে অভ্যেস করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে!
ঘুমের পরিমাণ বাড়ান:
ওজন কমানো বা টোনড থাকার সঙ্গে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক আছে। আপনি যত বেশিক্ষণ ঘুমোবেন, তত তাড়াতাড়ি ওজন কমতে আরম্ভ করবে। দিনের পর দিন ক্লান্তি জমা হতে থাকলে মুখের মাসল ক্রমশ ঢিলে হতে আরম্ভ করবে। তাই যথেষ্ট বিশ্রাম নিন।
সাহায্য নিন বিশেষ মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলের:
কনট্যুরিংয়ের সাহায্য নিয়ে আপনি মুখের গড়ন বদলে ফেলতে পারেন। সেই সঙ্গে ব্যবহার করুন ব্রোঞ্জার, শিমার পাউডার – ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারলে মুখের আকার বদলে যাবে। সেই সঙ্গে ট্রাই করে দেখুন মানানসই হেয়ারস্টাইল।
No comments:
Post a Comment