গরম যতই চেপে ধরছে, ততই খারাপ হচ্ছে আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য? সময়ে অসময়ে ব্রণ বেরোচ্ছে হঠাৎ করেই, রোদের গনগনে আঁচে লাল হয়ে যাচ্ছে ত্বক, র্যাশ হানা দিচ্ছে যখন-তখন? তবে এসবের জন্য আবহাওয়া পুরোপুরি দোষী নয়, আসল সমস্যাটা আপনি নিজেই পাকিয়ে রেখেছেন যা ইচ্ছে তাই খাওয়াদাওয়া করে। প্রথমে ডায়েট ঠিক করুন, তা হলেই আপনার ত্বক এমনিই ভালো থাকবে!
জানেন কি, সুস্থ ত্বকের ভিতটা তৈরি হয় আপনার পাচনতন্ত্রে? এমন খাবার খেতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মিলবে, সেই সঙ্গে শীতল থাকবে শরীর। তেল-মশলার অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এড়িয়ে যেতে হবে, খেতে হবে মরশুমি ফল আর সবজি। এই সময়ের প্রতিটি সবজি, অর্থাৎ লাউ, ঝিঙে, পটল, ঢ্যাঁড়শ, কুমড়োয় প্রচুর জল থাকে। তা আপনার শরীরে কোনও প্রদাহ হতে দেয় না। যে ফলগুলি পাওয়া যায়, সেই আপেল, তরমুজ, আঙুর, শসা, পেয়ারা, লিচু, আম ইত্যাদির ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। সেই সঙ্গে মেলে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল। তাই কোনও অবস্থাতেই এগুলি খাদ্যতালিকার বাইরে রাখবেন না। আম-কুমড়ো-পেঁপের হলুদ রঙে থাকে ক্যারোটিনয়েড, তা ঠেকায় সানবার্ন। বাতাবি, পাতিলেবু, মুসম্বির ভিটামিন সি বাড়ায় কোলাজেনের উৎপাদন, তা রোদে পোড়া ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন ঠেকিয়ে রাখবে। তবে যে কোনও ফল-সবজিই বেশ খানিকক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে তারপর খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
রেড মিট এক-আধদিন চলতে পারে, কিন্তু মাছ-চিকেন খান স্বচ্ছন্দে। ডিমের গরগরে কালিয়া বাদ, ভরসা রাখুন সেদ্ধ ডিমেই। ডিমের কুসুম ফেলবেন না, তার মধ্যে থাকে প্রাণিজ ক্যারোটিনয়েড লুটেইন, তা ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভালো ফ্যাটের জোগান দিক ঘি, বাদাম, অ্যাভোকাডো। জল খেতে ভুলবেন না, তবে কনকনে ঠান্ডা জল কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভালো নয়। অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল খেতেই হবে।
No comments:
Post a Comment